আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ জুলাই ২০২১, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

হেমায়েত উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে ডিবিএ’র স্মরণসভা ও মিলাদ মাহফিল

শেয়ারবাজার ডেস্ক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ ছিলেন অনেক দূরদর্শী মানুষ। দেশের পুঁজিবাজার ও তৈরি পোশাক শিল্পসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে তিনি অনেক অবদান রেখেছেন। পুঁজিবাজার যে অনেক বড় হবে, এখানে অনেক বিদেশী বিনিয়োগ আসবে, তিন/চার দশক আগেই তা তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। সম্ভাবনাময় এই ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিতে সবাইকে তিনি উদ্বুদ্ধ করতেন, পরামর্শ দিতেন।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) অনুষ্ঠিত এক স্মরণসভা ও মিলাদ মাহফিলে আলোচকরা এ কথা বলেন। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) এই সভা ও মিলাদের আয়োজন করে। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে আয়োজিত এই সভা সঞ্চালনা করেন ডিবিএ’র সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন।

স্মরণ সভায় ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান, সাবেক প্রেসিডেন্ট মোঃ রকিবুর রহমান, আহমেদ ইকবাল হাসান, শাকিল রিজভী, আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি, ডিবিএ’র সাবেক সভাপতি মোশতাক আহমেদ সাদেক, ডিবিএর সাবেক সহ-সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী, ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক হাবিবুল বাহার, ডিএসইর সিনিয়র সদস্য মোঃ শাহজাহান, মোঃ আকবর আলী, শহুদল হক বুলবুল, ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন পাটোয়ারি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সভায় ডিএসই চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারে বিকালে হেমায়েত উদ্দিন আহমেদের অনেক অবদান রয়েছে। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের বেশিরভাগ মানুষ তা জানে না। তাই তার অবদান ও স্মৃতি তুলে ধরতে ডিএসইর ম্যানেজমেন্ট কোনো উদ্যোগ নিলে পর্ষদ তা অনুমোদন করবে।

মোঃ রকিবুর রহমান বলেন, হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ ছিলেন অনেক জ্ঞানী। তার মতো প্রাজ্ঞ মানুষ পুঁজিবাজারে দুর্লভ। তিনি মরহুম হেমায়েত উদ্দিনের স্মরণে একটি পুস্তিকা প্রকাশের প্রস্তাব করেন।

আহমেদ ইকবাল হাসান বলেন, ইক্যুইটি, বন্ড, ডেরিভেটিভসসহ নানা প্রোডাক্ট এবং সামগ্রিক পুঁজিবাজার সম্পর্কে হেমায়েত উদ্দিনের ছিল অসাধারণ জ্ঞান। দেশের অনেক সিকিউরিটিজ আইন প্রণয়নে তার অবদান রয়েছে। ডিএসইর মাসিক প্রকাশনা, কম্পিউটার সিস্টেমে আইপিওর লটারিসহ অনেক নতুন বিষয়ের সূচনা হয়েছিল তার হাত ধরে।

আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি বলেন, মরহুম হেময়াতে উদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন বহুমাত্রিক প্রজ্ঞার মানুষ। শুধু পুঁজিবাজার নয়, দেশের তৈরি পোশাক খাতের বিকাশেও তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এই খাতে ব্যবহৃত ব্যাক টু ব্যাক এলসি (ঋণপত্র) এর ক্ষেত্রে হিসাব কি হবে, একটি পোশাক তৈরি করতে কি পরিমাণ কাপড় প্রয়োজন, কতটুকু কাপড়ের অপচয় হয় তা তিনি হিসাব করে নীতিনির্ধারণে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও সরকারকে সহায়তা করেন।

মরহুম হেমায়েত উদ্দিনের ভাগ্নি, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি শারমিন রিনভী আগামী প্রজন্মের কাছে তার অবদান তুলে ধরা, তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য তার জীবনীগ্রন্থ প্রকাশের উদ্যোগ নিতে ডিএসইকে অনুরোধ জানান। আর এ ধরনের যে কোনো উদ্যোগে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.