বীমায় ভর করে উত্থানে শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বীমা খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্য ৩৭টি কোম্পানির দর বেড়েছে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহম্পতিবার। আর সেই ধারাতেই ইতিবাচক প্রবণতায় শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৩৫ পয়েন্ট। ডিএসই এক্স এখন ৬ হাজার ২১২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বীমার দাপটের দিন ওষুধ ও জ্বালানি খাতের শেয়ার দর ছিলো ভালো অবস্থানে।
তবে গত মাসে দুই হাজার কোটি বা তার চেয়ে বেশি লেনদেন নিয়মিত ঘটনা হলেও আজ লেনদেন হয়েছে দেড় হাজার কোটির টাকার কম। আজ লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪৯১ কোটি টাকার যা আগের দিনের চেয়ে কম। বুধবার লেনদেন হয়েছিলো এক হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।
বীমার সাথে এদি দিন চাঙা ছিল মূলত ওষুধ ও জ্বালানি খাতের শেয়ার দর। এ খাতের ২২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬টির।
ওষুধ ও রসায়ন খাতও ভালো অবস্থানে ছিলো। এই খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে ২৭টির দর বেড়েছে। একটির লেনদেন স্থগিত। আর বাকিগুলো কমেছে। তবে মন্দায় গেছে ব্যাংক খাত। ৩১টি কোম্পানির মধ্যে ৬টির দাম বেড়েছে ১০ পয়সা করে। ৯টির দাম ছিল অপরিবর্তিত। আর কমেছে বাকি ১৬টির।
চলতি সপ্তাহে টানা চাঙাভাব থাকা মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত কিছুটা দর হারিয়েছে। ইউনিটপ্রতি ১০ থেকে ৩০ পয়সার মধ্যে কমেছে বেশিরভাগের।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ১ হাজার ৪৯১ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২১২ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়েছে এবং ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে মোট ৩৭৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯১টির, দর কমেছে ১৫৫টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টি কোম্পানির।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১২০ পয়েন্ট। সূচকটি ১৮ হাজার ১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার।
সিএসইতে মোট ৩২১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৯টির, দর কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির।