আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৪ জুলাই ২০২১, বুধবার |

kidarkar

স্বাভাবিক হচ্ছে রাজধানী

শেয়ারবাজার ডেস্ক: ঈদুল আজহা উপলক্ষে মানুষের চলাচল ও ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে চলমান লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আজ বুধবার চলমান লকডাউনের শেষ দিনে রাজধানী আবারও আগের চিত্রে ফিরতে শুরু করেছে। প্রতিটি সড়কে গণপরিবহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। খুলেছে অধিকাংশ দোকানপাট। বেড়েছে মানুষের চলাচল। ফলে লকডাউন শিথিলের আগেই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে রাজধানী।

আজ বুধবার লকডাউনের শেষ দিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গণপরিবহন না চললেও সড়কে অনেক জায়গায় যানজট দেখা গেছে।

রাজধানীর সড়কে আগের চেয়ে বেড়েছে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ। একই সঙ্গে নির্দেশনা অমান্য করে মোটরসাইকেলে নেওয়া হচ্ছে দুজন যাত্রী। আগের চেয়ে বাইরে মানুষের চলাফেরা বেড়েছে। অধিকাংশই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। অনেকে মাস্ক ছাড়াই ঘোরাঘুরি করছে।

একটি প্রাইভেট কারে চারজন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘সরকার তো সব লকডাউন তুলে নিয়েছে। তাই আমরা একটু জরুরি কাজে বের হয়েছি।’ কী জরুরি কাজে বের হয়েছেন, সেটা জানতে চাইলে তিনি আর কথা বলতে চাননি। রামপুরা চেকপোস্টে তাঁর গাড়ি আটকানো হয় এবং যথাযথ কারণ না বলতে পারায় তাঁকে জরিমানা করা হয়।

বেসরকারি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে কাজ করেন জিয়াউল হক। তিনি মোটরসাইকেলে তাঁর প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে সহকর্মীকেও নিয়েছিলেন। ফলে পথে পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘শুনলাম লকডাউন আর থাকছে না। ফলে আমি মনে করেছি সবকিছু স্বাভাবিক হয়েছে। তাই আগের নিয়মে দুজন যাচ্ছিলাম। এ কারণেই পুলিশ ধরেছে। কাল তো সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে, তাহলে আজ এত কড়াকড়ি করে কোনো লাভ আছে।’

লকডাউন শিথিলের খবরে রাজধানীর প্রধান সড়কের পাশের দোকানপাটগুলো ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে। কিছু কিছু দোকানের অর্ধেক শাটার খোলা। কেউ আবার পুরোটাই খোলা রেখে চালাচ্ছেন দোকান।

বাড্ডায় জহুরুল ইসলাম নামের এক দোকানদার বলেন, ‘কাল থেকে লকডাউন আর থাকছে না। তাই আজ দোকানটা খুলেছি। সবকিছু ঠিকঠাক আছে কি না, তা দেখছি। ঈদের এই কয়টা দিন এমনিতেই বেচা–বিক্রি হবে না। ঈদের পরে আবার লকডাউন। আমাদের তো মাথায় হাত।’

লকডাউনের শেষ দিন হলেও সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল আগের মতো। বেশির ভাগ সড়কে ছিল পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট।

রামপুরা বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের চেকপোস্টে কথা হয় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মোহতাছিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ মনে করছে আজ কোনো লকডাউন নেই। সব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সে কারণে মানুষ আজকে বেশি বাইরে আসছে। তা ছাড়া যারা বাইরে আসছে বেশির ভাগই মিথ্যা যুক্তি দেয়। বাইরে আসার যথাযথ যুক্তি দেখাতে পারছে না। যার একটি ব্যক্তিগত গাড়ি আছে সে দেখা যাচ্ছে আরও চারজন যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। কোনো কারণ ছাড়াই তারা বের হচ্ছে।’

করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশে চলছে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন। এর ফলে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। চলছে না বাস, ট্রেন ও লঞ্চ।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.