আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ইং, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ জুলাই ২০২১, সোমবার |

kidarkar

হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

শেয়ারবাজার ডেস্ক: হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এই কিংবদন্তী কথাসাহিত্যিক। তাকে হারানোর শোক এখনও ভুলতে পারেননি বাংলা ভাষাভাষী পাঠকরা। তিনি চলে গিয়েও রয়ে গেছেন অসংখ্য পাঠকের হৃদয়ে।

আজ হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে  সীমিত পরিসরে কিছু আয়োজন থাকছে।

নুহাশ পল্লীর ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বুলবুল সংবাদমাধ্যমকে জানান, সকালে কুরআন খতমের আয়োজন করা হয়েছে। এরপর হুমায়ূন আহমেদের মাজারে ফুল দেওয়া হবে। প্রতিবছর এতিম বাচ্চাদের খাওয়ানোর যে আয়োজন হয় তা এবার হচ্ছে না। এই বাবদ যে টাকা খরচ হয় তা গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন সকালে নুহাশপল্লীতে যাবেন বলেও জানা গেছে।

হুমায়ূন আহমেদের স্মরণে শহিদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ, হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি সংসদ ও ঝংকার শিল্পী গোষ্ঠী করোনার কারণে সীমিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও ঝংকার শিল্পী গোষ্ঠী হুমায়ূন আহমেদের লেখা গান পরিবেশন করবে।

২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে হুমায়ূন আহমেদের শরীরে মরণব্যাধি ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যান। সেখানে ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তিনি চলে যান লাইফ সাপোর্টে। ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২৩ জুলাই দেশে ফিরিয়ে আনা হয় হুমায়ূন আহমেদের মৃতদেহ। ২৪ জুন তাঁকে দাফন করা হয় তাঁর গড়ে তোলা গাজীপুরের নুহাশ পল্লীর লিচুতলায়।

হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ডাকনাম কাজল। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আর মা গৃহিণী। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল তার ছোট ভাই। সবার ছোট ভাই আহসান হাবীব নামকরা কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক।

হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখকদের একজন। তিনি একাধারে ছিলেন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্য দিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তার বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানান ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.