রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের এজিএমে ১৪ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন
শেয়ারবাজার ডেস্ক: রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ৭ শতাংশ নগদসহ মোট ১৪ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।
মঙ্গলবার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত সভায় পরিচালকগণ ও বিনিয়োগকারীরা ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদনের উপর আলোকপাত করেন।
এতে দেখা যায়, আলোচ্য বছর কোম্পানির মোট প্রিমিয়াম হয়েছে ৭৮ কোটি টাকা, যা আগের বছর ছিলো ৬৮ কোটি টাকা এবং নিট প্রিমিয়াম হয়েছে ৫০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, ২০১৯ সালে যা ছিল ৪১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে মোট প্রিমিয়াম ও নিট প্রিমিয়াম গতবছরের চেয়ে বেড়েছে যথাক্রমে ৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা এবং ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। যার প্রবৃদ্ধি হার ১৪.৬৬ শতাংশ ও ২০.৬৯ শতাংশ।
এছাড়া অবলিখন মুনাফা ২০১৯ সালের ১২ কোটি ৮১ লাখ টাকার স্থলে ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বেড়ে ১৪ কোটি ২৪ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আবার অন্যান্য আয় বিগত বছরের ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি ৩৪ লাখ বা ৪২.৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির অগ্রীম আয়কর বাবদ ২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, দাবী বাবদ ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা, অস্বাভাবিক ক্ষতির জন্য ২০ কোটি ২২ লাখ টাকা সঞ্চিতি রাখার পরও পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। যার পরিমাণ ৪৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
আগের বছরের পরিশোধিত মূলধন ৪৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার চেয়ে ৩ কোটি ৩ লাখ টাকা বেশি। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৬.৯৯ শতাংশ। আবার স্থায়ী আমানত ও মোট সম্পদও বেড়েছে অনেকাংশে। আলোচ্য বছর মোট সম্পদ বেড়েছে ১৩৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকায়, যা ২০১৯ সালে ছিল ১১৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। স্থায়ী আমানত দাঁড়িয়েছে ৪৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকায়, যা আগের বছর ছিল ৪৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে বিগত বছরের চেয়ে মোট সম্পদ ও স্থায়ী আমানত বেড়েছে যথাক্রমে ১৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ও ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
প্রতিষ্ঠানটির এমন ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে বছর শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ও শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে যথাক্রমে ২.৩৮ টাকা এবং ১৬.১৮ টাকা। আগের বছর যা ছিল ২.০২ টাকা এবং ১৫.৪৯ টাকা। এক্ষেত্রে ২০১৯ সালের চেয়ে ইপিএস ও এনএভি বেড়েছে যথাক্রমে দশমিক ৩৬ টাকা ও দশমিক ৬৯ টাকা। ফলশ্রুতিতে সমাপ্ত বছরের অগ্রগতির প্রতি লক্ষ্য রেখে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ শতাংশ নগদসহ মোট ১৪ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। বার্ষিক সাধারণ সভায় যা অন্যান্য এজেন্ডার সাথে বিনিয়োগকারীদের সর্বসম্মতি লাভ করে।