অমিত শাহের নির্দেশেই ত্রিপুরায় হামলা, অভিযোগ মমতার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে। সোমবার (৯ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গের এসএসকেএম হাসপাতালে আহত নেতাকর্মীদের দেখতে গিয়ে এমনই অভিযোগ সামনে এনেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার কথায়, ‘আমি বিশ্বাস করি, এ সবই হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহের নির্দেশে। তা না হলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর অত সাহস হতে পারে না।’
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর এবার ত্রিপুরাকে টার্গেট করেছে তৃণমূল। তবে, এর আগে পর্যন্ত ত্রিপুরা নিয়ে তেমন মুখ খোলেননি তৃণমূল নেত্রী। এবার ত্রিপুরায় তৃণমূল যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহাদের ওপর হামলা ও গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে সরাসরি মাঠে নামলেন মমতা। এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে সুদীপ রাহা, জয়া দত্তদের দেখতে গিয়ে মমতা বুঝিয়ে দিলেন, পশ্চিমবঙ্গের পর ত্রিপুরাই তার পরবর্তী লক্ষ্য।
এর আগে শনিবার ও রোববার দিনভর ত্রিপুরায় হামলার শিকার হয়েছিলেন তৃণমূলের যুব নেতারা। হামলার শিকার তো হয়েছিলেন-ই। সেইসঙ্গে গ্রেফতারও করা হয় অনেককে। এরপরই ত্রিপুরায় ছুটে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনভর থানা আদালত করে দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহাদের মুক্ত করেই ত্রিপুরা ছাড়েন অভিষেক। সঙ্গে নিয়ে আসেন জয়া, সুদীপদের। এরপরই তাদের ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই সোমবার যুব নেতাদের দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ত্রিপুরায় আহত তৃণমূল নেতাকর্মীদের দেখতে সোমবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে এসএমকেএম হাসপাতালে পৌঁছান মমতা। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
সেখানেই বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘ত্রিপুরায় আমাদের লোকেদের ওপর নির্লজ্জ হামলা চালিয়েছে বিজেপি। সেখানে দানবীয় সরকার চালাচ্ছে দলটি। আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের সামনেই সব হয়েছে। সারাদিনে আমাদের কাউকে এক গ্লাস পানি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।’
মমতা আরও বলেন, ‘নেতাকর্মীদের ওপর পাথর ছোঁড়া হয়েছে। গুলি চালানো হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তার পর ৩৬ ঘণ্টা কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। এমনকি পানিও দেওয়া হয়নি।’
তার অভিযোগ, ‘যারা অত্যাচার করল, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। এটা সম্পূর্ণ হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে, না হলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর এত সাহস হতে পারে না।’