বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে মুখর ব্রোকারেজ হাউসগুলো
শেয়ারবাজার রিপোর্ট : ঈদ পরবর্তী ও করোনা মহামারির মধ্যে সরকার ঘোষিত লকডাউন ও বিধি নিষেধের মধ্যেও ইতিবাচক রয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। সরকার ঘোষিত লকডাউন শিথিল হওয়ায় মতিঝিলের ব্রোকারেজ হাউসগুলো প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে চলছে লেনদেন। বুধবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিলের বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বিনিয়োগকারীরা জানিয়েছেন, করোনা এবং ঈদ সব মিলিয়ে দীর্ঘ সময় পর সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। লেনদেনের পাশাপাশি গল্প করে সময়টা ভালো কাটছে বলেও জানিয়েছেন তারা।বিনিয়োগকারীরা বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে হাউসে এসে ট্রেড করি। এটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল।
কিন্তু লকডাউনের কারণে বেশ কয়েক দিন আসতে পারিনি ফোনে ফোনে ট্রেড করেছি। আজ এসে ভালো লাগছে। তিনি আরো বলেন, লকডাউনের মধ্যে আমি আমার মাকে হারিয়েছি। অনেকেই তাদের আত্মীয় স্বজন হারিয়েছেন। তাই সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে গুরুত্ব দিচ্ছি।
হাউসে এসে ট্রেড করার আনন্দটাই অন্যরকম বলে জানালেন ইবিএল সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী আতাউল্লাহ নাইম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর ব্রোকারেজ হাউসে এসে লেনদেন করছি। বেশ উৎসব উৎসব লাগছে। আমাদের মধ্যে অনেকে টিকা নিয়েছেন আবার অনেকে এখনও নিতে পারেননি। তাই মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন ও ডিবিএ বিনিয়োগকারীদের টিকা প্রক্রিয়া সহজ করতে হাউসগুলো পরিদর্শন করে বিএসইসির সঙ্গে পরামর্শ করে একটি উদ্যোগ নিতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এক দশকে শক্ত অবস্থানে রয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। লকডাউনের মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করেছেন।
অপরদিকে, মতিঝিলের প্রধান সড়কসহ আশে পাশের সড়কগুলোতে যানজট দেখা গেছে। লকডাউন উঠে যাওয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ব্যাংক পাড়া খ্যাত মতিঝিল এলাকা।
এর আগে গত ৩০ জুন বিএসইসির এক নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনে শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু থাকলেও কোনো প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না হতে নির্দেশনা দেয় পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পাশাপাশি বিধিনিষেধের মধ্যে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের চলাচলের জন্য বিশেষ পাসের ব্যবস্থা করে সংস্থাটি।
GOOD FOR FUTURE ECONOMY.