ওটিসিকে এসএমই ও এটিবিতে স্থানান্তরে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মতামত চায় কমিশন
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ওটিসি মার্কেটের কোম্পানিগুলোকে আর্থিক সক্ষমতা ও সম্ভাবনা বিবেচনা করে স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্ম (এসএমই) ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তর করা হবে।
এই কোম্পানিগুলো স্থানান্তরের একটি খসড়া তালিকা প্রস্তুত করেছে বিএসইসি। একইসঙ্গে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে খড়সা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। ওই নীতিমালার ওপর মতামত জানাতে ডিএসই ও সিএসইকে নির্দেশ দিয়েছে এ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ডিএসই ও সিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ইলেক্ট্রোনিক শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালককেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজারের স্বার্থ রক্ষার্থে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ধারা ২০এ এর ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছে। লেনদেন, ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট, মানি অ্যাডজাস্টমেন্ট, মার্জিন, সার্কিট ব্রেকার, ডিপোজিটরি ফি, এবং চার্জ এবং অন্যান্য ছোট কোম্পানিগুলির ট্রেডিং শুরু করার জন্য স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্ম, অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড এবং স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাসঙ্গিক প্ল্যাটফর্ম বা বোর্ড থেকে ওটিসি কোম্পানিগুলোকে তালিকাচ্যুত বা বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। খড়সা নীতিমালা অনুযায়ী এ প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। এ চিঠি পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে যদি কোনো মতামত থাকে তা জানাতে বলা হয়েছে।
২০০৯ সালে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে প্রতিষ্ঠিত হয় ওটিসি মার্কেট। মূলত কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা ও সম্ভাবনা যাচাই করে এ স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া উৎপাদনে না থাকা, নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা, কাগুজে শেয়ার ডিমেট না করা, নিয়ম অনুযায়ী আর্থিক প্রতিবেদন জমা না দেওয়া, লভ্যাংশ প্রদান না করা এবং সিকিউরিটিজ আইন যথাযথভাবে পরিপালন না করা কোম্পানিগুলোকে মূল মার্কেট থেকে ওটিসিতে শাস্তি স্বরূপ স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে কোম্পানিটি বা উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হলেও কার্যত শাস্তি পাচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
তবে ওটিসি বাতিলে বিএসইসির এমন সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। কারণ ওটিসির কোম্পানিতে দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিনিয়োগ আটকে রয়েছে। এমনকি ওই শেয়ারের বিপরীতে বিনিয়োগকারীরা কোনো ধরনের লভ্যাংশ পাচ্ছেন না। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তারা ওই শেয়ারগুলো বিক্রি করতে পারছেন না। এখন দীর্ঘদিন পর গলার কাঁটা সরতে যাচ্ছে তাদের। বিএসইসিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
এই খবরে আশার আলো জাগায়, বিএসইসির এমন সিদ্ধান্তে ধন্যবাদ
United Air মুল মার্কেটে নিয়ে আসুন আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীর অনেক টাকা আটকে আছে মূল মার্কেটে কি আসবো আসলে বিএসসি কে ধন্যবাদ জানাবো
Gulf food এ আমার অনেক টাকার শেয়ার আটকে আছে। বিএসইসি কে অনেক ধন্যবাদ।
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বর্তমান বিএসইসি পরিযদ অনেক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত প্রশংসানীয়। তেমনিভাবে ডিভিডেন্ড না দেয়া, উৎপাদনে না থাকা, নানা অভিযোগে অভিযোক্ত ওটিসি মার্কেটে পড়ে থাকা কোম্পানি নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিএসইসি। যে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ কতটুকু রক্ষা হবে ? যদি বন্ধ থাকা কোম্পানি উৎপাদনে না নিয়ে আসা, ডিভিডেন্ড না দেয়ার আসল রহস্য উদঘাটন না করা যায়। তাহলে কোন উদ্যোগই সফলতা মুখ কতটুকু দেখবে তা প্রশ্ন থেকে যায় । কারন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে ওটিসি মার্কেটে নেয়ার দশ বছরেও এসব কোম্পানির উদ্যাক্তারা আন্তরিকভাবে কি প্রদেক্ষেপ নিয়েছেন এসব কোম্পানি সুস্থ করে তুলতে ? তাহাও তদন্তের দাবি রাখে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ? কারন সাধারণত বিনিয়োগকারীদের কাছে এসব কোম্পানির সিংহভাগ শেয়ার উচ্চমুল্যে ছেড়ে দিয়ে কোম্পানি চালু রাখা বা ডিভিডেন্ড দেয়া উদ্যোগক্তারা কতটুকু আন্তরিকতা তা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কিছুটা অনুধাবন করতে পারে। তাই এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বন্ধ কোম্পানি চালু এবং অলাভজনক কোম্পানি লাভজনক করার উদ্যোগই ওটিসি মার্কেটে পড়ে থাকা কোম্পানি বিযয়ে প্রকৃত ব্যবস্থা হবে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ মুল সমস্যা সমাধান না করে
স্থানান্তর সর্বক্ষেত্রে কার্যকর নাও হতে পারে। আজকে যে ওটিসি মার্কেটকে নিয়া নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। এই মার্কেট যখন গঠন করা হয়।তখন এই মার্কেটের সফলতা নিয়ে আশংকা প্রকাশ করে ফেইসবুকে একটি লিখা লিখেছিলাম । আজও লিখলাম নতুন উদ্যোগের সফলতা নিয়ে। ওটিসি মার্কেটে চলে যাওয়া কোম্পানিগুলোর দশ বছর হয়ে গেছে হয়ত আরো কতকাল অপেক্ষা করতে হবে। এর আগে অনেক বিনিয়োগকারীরা তখন জীবিত নাও থাকতে পারেন।এই দশ বছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কিছু নিশ্চয়ই এই দুনিয়া ত্যাগ করেছেন কিন্তু এসব কোম্পানিতে তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থের সমাধান দেখে যেতে পারেননি।