আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ অগাস্ট ২০২১, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

বেশিরভাগ ব্যাংকেরই ব্যালেন্সশিট ভালো-অর্থমন্ত্রী

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের বেশির ভাগ ব্যাংকেরই ব্যালেন্সশিট ভালো বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘আগে সরকারি ব্যাংকগুলো সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে রিফাইন্যান্সিং করে চলতো। গত দুই-তিন বছর থেকে এর পরিবর্তন হয়েছে। এখন রিফান্ডিং করার কোনও ব্যবস্থা নেই। সরকারি ব্যাংকগুলো এখন আয় করে ব্যয় করে যাচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ব্যাংকিং খাত বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন প্রাইভেট সেক্টরের ব্যাংকগুলো আগে কী অবস্থায় ছিল? এ বছর তাদের ব্যালেন্সশিট দেখলে খুব হেলদি দেখতে পাবেন। মোস্ট লার্জলি, বেশির ভাগ ব্যাংকেরই ব্যালেন্সশিট ভালো। প্রফিট না থাকলে তো ডিভিডেন্ট দিতে পারবে না। আগে আপনারা সবসময় বলতেন যে ব্যাংকগুলো ডিভিডেন্ট দেয় না। নানাভাবে তারা ডিভিডেন্ট এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেন।

তিনি আরও বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলোকে সুস্পষ্টভাবে আমরা বলে দিয়েছি, আপনাদের অর্থ অর্জন করতে হবে। আয় করতে হবে, আয় করে ব্যয় করতে হবে। সেটিও তারা করে যাচ্ছে। সুতরাং সরকারি ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংক সবাই একটু ভালো অবস্থানে আছে। আগে আশঙ্কা ছিল যদি ইন্টারেস্ট রেট কমানো হয় ৬ শতাংশ বা ৯ শতাংশ ইন্টারেস্ট রেটগুলো তাদের জন্য দিয়েছিলাম, সেটা আমরা দিয়েছিলাম আমাদের বিবেচনায় নয়, সারা বিশ্বের বিবেচনায়। কারণ আমরাও তো কোনো না কোনো ভাবে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখন সেসব দেশে যারা ব্যবসা করে সেখানে ইন্টারেস্ট রেট অনেক কম, বিদেশে ইন্টারেস্ট রেট অনেক কম। সুতরাং কম ইন্টারেস্ট নিয়ে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা যদি ব্যবসা করতে পারে, তাদের কস্ট অব প্রোডাকশন কম হবে। অপরেশনাল কস্ট দেখা যাবে আমাদের চেয়ে কম। তারা প্রতিযোগিতায় টিকবে আমাদের চেয়ে বেশি।

মন্ত্রী বলেন, সার্বিক বিষয়ে বিবেচনায় রেখে আমাদের ইন্টারেস্ট রেটটা সারা বিশ্বের সবার চাইতে বেশি। প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে এটি বলেছেন। আমি মনে করি এটা বাস্তবধর্মী হওয়া উচিত, সেটি হয়েছে। ব্যাংকগুলোর যে অ্যাপ্রিহেনশন (উদ্বেগ) ছিল ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে, আর্থিক অবস্থা ভালো থাকবে না, তাদের আয় কমে যাবে, ব্যয় বেড়ে যাবে ইত্যাদি জিনিস। এগুলো বাস্তবে পাবেন না। ২০-২২ শতাংশ ইন্টারেস্ট দিয়ে কী হবে, যদি আপনি না পান। এখানে রাইটাপের পরিমাণ কম। আমি মনে করি আগে একটা বিষয় ছিলে যারা ব্যবসা করতেন তারা শিল্প-কারখানা করতে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা করত। আমাদের দেশের মতো ইনফ্লেশন রেট খুব কম দেশে পাওয়া যাবে। সারা বিশ্বের কোথাও যদি কোনো ব্যাংকে টাকা রাখলে ইন্টারেস্ট পাওয়া যায় না বরং টাকা রাখলে ইন্টারেস্ট দিতে হয়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.