ব্যাংক, বীমা, জ্বালানিতে ভর করে সূচকের উত্থান
শেয়ারবাজার ডেস্ক: একদিন দল বেঁধে দাম বাড়লেই পড়দিন আবার দল বেঁধে পতন। ব্যাংক খাতের এই প্রবণতা শেয়ারধারীদের মধ্যে যে বিরক্তি উদ্রেক করেছে, তার ব্যতিক্রম দেখা গেল পুঁজিবাজারে।
রোববার দল বেঁধে ব্যাংকের শেয়ারের দর বৃদ্ধির পরদিনও অর্ধেক কোম্পানির দাম বাড়ল আরও এক চতুর্থাংশ তার দাম ধরে রাখতে পেরেছে। এক তৃতীয়াংশ কোম্পানির দরপতন হলেও শতকরা হারে পতন খুব একটা বেশি নয়।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে সবচেয়ে বেশি চাঙাভাব দেখা গেছে মূলত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং বহুল আলোচিত বিমা খাতে।
পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল পরিচালনা পরিচালনা পর্ষদ গঠনের পর দিন বড় খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্র ও প্রকৌশল দর হারানোর পরেও সূচক বেড়েছে মূলত ব্যাংক, বিমা, জ্বালানি খাতে ভর করে।
দুই কর্মদিবসে অল্প সংশোধনের পর টানা দুই দিন বাড়ল সূচক। সূচক যে সাত হাজার পয়েন্টের মাইলফলকের দিকে ছুটছে, সেটি বোঝা গিয়েছিল রোববারই। সেটি স্পষ্ট হলো আরও।
দিনটি ব্যাংক ছাড়াও বিমা ও জ্বালানি খাতের শেয়ারধারীদেরকে স্বস্তি দিয়েছে।
টানা তিন কর্মদিবস উত্থানের পর রোববার বিমার শেয়ারের দরপতন এই খাতের বিনিয়োগকারীদেরকে ভাবিয়ে তোলে। এর কারণ, কিছু কোম্পানির দর গত জুনের প্রথম ও কিছু কোম্পানির দর দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সংশোধনে গিয়েছিল। ক্রমেই দাম কমতে কমতে কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ার দর ৩০ শতাংশ, কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ার দর কমে গিয়েছিল ৪০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত ছিল। পর পর তিন কর্মদিবস দাম বৃদ্ধি, সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধির তালিকায় উঠে আসতে শুরু করে কোম্পানিগুলো। রোববারের ছন্দপতনের পরদিন আজও দেখা গেছে এই প্রবণতা।
দিনের সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৫টিই ছিল বিমা খাতের। আর আটটি কোম্পানি ছাড়া বেড়েছে বাকি সব কটির।
খাতওয়ারি হিসেবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। গত এক মাসে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া সিভিও পেট্রোক্যামিকেল ছাড়া বেড়েছে বাকি সব কোম্পানির দাম।
গত এক বছরে পুঁজিবাজারে উত্থানের মধ্যেও এই খাতের ঘুমিয়ে থাকা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই সাম্প্রতিক সময়ে বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক দেখা যাচ্ছে খাতটিতে।