আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ অগাস্ট ২০২১, মঙ্গলবার |

kidarkar

‘প্রধানমন্ত্রী বললে কালকেই স্কুল খোলা’

শেয়ারবাজার ডেস্ক: দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আজকে বললে কালকেই খুলে দেয়া হবে স্কুলগুলো।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদেরকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিচুয়েশনটা একটু স্বাভাবিক হলেই আমরা খুলে দেব। আমাদের সকল প্রস্তুতি আছে স্কুল খোলার।’

কবে নাগাদ খোলা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা বলতে পারব না, কবে নাগাদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলে, আমাদের যদি আজকে বলে আমরা কালকেই প্রস্তুত আছি।’

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলার প্রস্তুতি তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্কুলগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষকরা স্কুলের যাচ্ছেন। আমরা অনলাইন ও অফলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছি। সংসদ টিভিতে ক্লাস হচ্ছে। স্কুল বন্ধ থাকলেও আমাদের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। তাদের ওয়ার্কশিট দেয়া হচ্ছে।’

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা পেলেই ক্লাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখন যে পরিস্থিতি হুট করে স্কুল খোলা যায় না। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

স্কুল খুলে দেয়ার জন্য নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় বছর ধরে আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। তারা নানা ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে। পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আমার এলাকার বাচ্চারাতো সারা দিন খেলাধুলায় মত্ত। অনলাইনের কারণেও আমার ডিস্টার্ব হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বাজে গেমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।’

দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় কিশোর গ্যাংয়ের প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে বাল্য বিবাহ বেড়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

স্কুল খোলার পর কীভাবে ক্লাস নেয়া হবে তার একটি রূপরেখা এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুল খুললেও আপাতত দুই ভাগে হবে প্রাইমারি শিক্ষার্থীদের ক্লাস। এরমধ্যে ক্লাস থ্রি, ফোর ও ফাইভে সপ্তাহে ২ দিন করে ক্লাস নেয়ার পরিকল্পনা আছে। আর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহে একদিন করে নেয়া হবে। এভাবে আমরা করতে চাচ্ছি। আমাদের কারিকুলাম অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত একটা সিলেবাসও চিন্তা ভাবনা করছি।’

গতবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার সরকারের ভাবনা কী, জানতে চাওয়া হয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে।

তিনি বলেন, ‘সমাপনী পরীক্ষা সশরীরে হবে নাকি মূল্যায়নভিত্তিক হবে এ সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি অনুযায়ী নেয়া হবে। এরকম যদি পরিবেশ থাকে তাহলে পরীক্ষা না নিয়ে আমরা গতবার যেভাবে মূল্যায়ন করেছি সেভাবে করব। আমরা তো ওয়ার্কশিট দিচ্ছি। এই ওয়ার্কশিটগুলোই আমরা মূল্যায়ন করব। এই শিট অনুযায়ী বাচ্চারা কে কী করল, সেভাবেই মূল্যায়ন করব।’

সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যেও যদি স্কুলে খুলে দেয়া যায়, সেক্ষত্রে সশরীরে পরীক্ষা ‍নেয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানালেন জাকির হোসেন। বলেন, ‘আমরা যদি স্কুল খুলতে পারি তাহলে অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরীক্ষা নেব।’

দেশে করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। পরে দফায় দফায় তা বাড়িয়ে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.