কান্দাহারে পৌঁছেছেন তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাবিতুল্লাহ আখুনদজাদা আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারে পৌঁছেছেন। তালেবানের উপমুখপাত্র বিলাল করিমি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করছি, তিনি (হাবিতুল্লাহ আখুনদজাদা) কান্দাহারে পৌঁছেছেন। শিগগিরই জনসমক্ষে আসবেন তিনি।’
হাবিতুল্লাহ কোথায় ছিলেন বা কোন জায়গা থেকে কান্দাহারে এলেন—এ বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি বিলাল করিমি। ১৫ আগস্ট কাবুলে তালেবানের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম হাবিতুল্লাহর বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলল তালেবান। তালেবানের সর্বোচ্চ এই নেতাকে আগে কখনো জনসমক্ষে দেখা যায়নি।
এদিকে আগামী এক অথবা দুই সপ্তাহে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হতে পারে বলে জানিয়েছে তালেবান। তবে এই মন্ত্রিসভায় নারীরা দায়িত্ব পালন করবেন কি না, সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ গত শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানান। তবে ঠিক কখন মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
সরকার গঠন না করলেও ইতিমধ্যে চারজন মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেছে তালেবান। শুরুতে অর্থমন্ত্রী গুল আগা ও ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সদর ইব্রাহিমের নাম ঘোষণা করা হয়। একই দিনে গোয়েন্দাপ্রধান হিসেবে নাজিবুল্লাহর নাম ঘোষণা করে তালেবান।
এরপর ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে জাকির আবদুল গোলাম রসুলকে দায়িত্ব দেয় তালেবান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রিত কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগারে বন্দী ছিলেন। সবশেষে ভারপ্রাপ্ত উচ্চশিক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে আবদুল বাকি হাক্কানির নাম জানা গেল।
অন্যদিকে আফগানিস্তান থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই কয়েকটি দেশ তাদের কার্যক্রম শেষ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রোববার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এবিসিকে বলেন, ‘আমরা আর ৩০০ বা তার চেয়ে কম আমেরিকানে নামিয়ে এনেছি, যাঁরা এখনো সেখানে আছেন। তাঁদের সরিয়ে আনতে আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।’
ব্লিঙ্কেন জানান, ৩১ আগস্টের পরেও কিছু আমেরিকান আফগানিস্তানে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তাঁরা আটকা পড়ছেন না। যুক্তরাষ্ট্রের তাঁদের বের করে আনার মতো ব্যবস্থা রয়েছে।