মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম
শেয়ারবাজার ডেস্ক: রাজধানীর বনানী কবরস্থানে পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে দুপুর দুইটার দিকে কুর্মিটোলায় বিমান সদরদপ্তর বলাকায় তার জানাজা হয়। জানাজায় বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নানা শ্রেনী-শোর মানুষ।
এর আগে তার মরদেহ ভারতের নাগপুর থেকে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে (বিজি-০২৬) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৯ টায় তার মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। কাতারের রাজধানী দোহা থেকে যাত্রী নিয়ে দেশে ফেরার পথে বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফট ভারতের নাগপুরে থামে। ওই ফ্লাইটটি ক্যাপ্টেনের মরদেহ বাংলাদেশে এনেছে।
বিমান থেকে মরদেহ নামানোর পর একে একে শ্রদ্ধা জানান বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
এর আগে ২৭ আগস্ট সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে মধ্য আকাশে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন কাইয়ুম। তবে তিনি সেকেন্ড ক্যাপ্টেনের হাতে দায়িত্ব না ছেড়ে নিজেই বিমানটির জরুরি অবতরণ করান। বিমানে কোনও চিকিৎসক যাত্রী রয়েছেন কিনা তার খোঁজ করা হলেও ক্রুরা যাত্রীদের জানতে দেননি পাইলট অসুস্থ। এবং এমন শারীরিক অবস্থায় নিজেই বিমানটিকে ল্যান্ড করান।
ঘনিষ্ট পারিবারিক সদস্য জানান, হার্ট অ্যাটাকের পর ঠিক যখন তার চিকিৎসা বা সেবা দরকার ছিলো তখন এতটা স্ট্রেস নিয়ে এতগুলো মানুষের জীবন বাঁচানোর চেষ্টাটিই করেছেন নওশাদ কাইযুম মিশু। “সে কারণেই হয়তো তাকে আমাদের হারাতে হলো,” বলেন তিনি।
২৯ আগস্ট চিকিৎসকরা তাকে ক্লিনিকালি ডেড ঘোষণা করেন। পরে গত ৩০ আগস্ট দুপুরে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয় ক্যাপ্টেন নওশাদের। পরে তার মরদেহ নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের মর্চুয়ারিতে ছিল।