বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে কঠোর কমিশন : বিএসইসি চেয়ারম্যান

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সুরক্ষা দিতে পারলে শেয়ার মার্কেট আরও বড় হবে। এ জন্য কমিশন কঠোর রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়তুল-উল-ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে নতুন ট্রেকরা ভুমিকা রাখবে।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অনুমোদন পাওয়া নতুন ৫২টি ট্রেকের সনদ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে নতুন ৫২ প্রতিষ্ঠানকে শেয়ার কেনাবেচা করার জন্য ট্রেক সনদ দেওয়া হয়।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার্থে বিএসইসিকে কঠোর হতে হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও বেশি কঠোর হবে।
তিনি বলেন, নতুন ট্রেক হোল্ডারদের সহযোগিতা করতে হবে। নতুনদেরও অভিজ্ঞদের থেকে শিখতে হবে। ক্যাপিটাল মার্কেট বিজনেস প্রাণ নিয়ে কাজ করছে। কিছু অসাধু বিনিয়োগকারী সেটাকে বাধা গ্রস্থ করতে চাচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে বাজারকে সামনে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করছি।
ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারেক আমিন ভূঁইয়া, পরিচালক রকিবুর রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, সালমা নাসরিন এবং ডিএসই ব্রোকারর্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএর) সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার এখন ব্যবসাবান্ধব। তবে অল্প কিছু কোম্পানি রয়েছে নিয়ম মানতে চায় না। নিয়ম-নীতির বাইরে চলে যায়। তারা নিজের মতো করে চলার চেষ্টা করে। সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের কষ্টের সঞ্চয়ের টাকার বিনিময়ে রিটার্ন দেওয়ার অধিকার যে আছে তারা সেটা দিতে চায় না।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারকে সমালোচকরা অনুৎপাদনশীল খাত বলে না বুঝেই সমালোচনা করছে। অথচ আমরা দেশের ভেতরে অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে যে অবদান রাখছি, সেগুলোর তো সবকিছুতেই উৎপাদনশীল খাতে যাচ্ছে। আমরা বাধা ও সমালোচনার ওভারকাম করে এগিয়ে যাব। তিনি বলেন, নতুন করে ৫২টি ট্রেক এসেছে শেয়ার কেনা-বেচায়। তারা ভালোভাবে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারলে পুঁজিবাজার আরও শক্তিশালী হবে।
ডিএসই পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, আমার ধারনা আগামি বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হবে। আর সূচক কোন ব্যাপার না। এটি ১০ হাজার উঠবে, ১৫ হাজার উঠবে, ২০ হাজার উঠবে। এটা কোন বিষয় না। এটি শুধুমাত্র শেয়ার দরকে ইঙ্গিত করে।
রকিবুর রহমান বলেন, আজকে ভারতের শেয়ারবাজারের সূচক ৫৪ হাজার। তো সূচক কোন ব্যাপার না। শেয়ারের দাম বাড়লে, সূচক বাড়বে।
অনেকে শেয়ারবাজার টিকবে কিনা জিজ্ঞেস করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি বলি ১০০% টিকবে। কারন ট্রেডিং মার্কেট টিকে। তবে হ্যা কারেকশন হতে পারে। যেমন ৫০ টাকার শেয়ার যখন ১০০ টাকায় উঠে, সেটি ৮০ টাকায় নামতে পারে। তবে সেটি ৫০ টাকায় নামবে না।
উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে ডিএসইর এই পরিচালক বলেন, আপনারা দেখেন মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো কি পরিমাণ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। এই খাতটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীর সবদেশে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বাজারকে স্থিতিশীল করে। দেশে সেই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা দেখে আমি নিজেই বেহুশ হয়ে গেছি। তাদের ব্যবসায়িক অর্জন দেখে অবাক হয়ে গেছি। এটা অবিশ্বাস্য (আনবিলিভঅ্যাবল)।
তিনি বলেন, বর্তমান কমিশন শেয়ারবাজারকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছেন। তারা এরইমধ্যে দুবাই ও আমেরিকা রোড শো করেছেন। এরমধ্যে আমেরিকায় বাংলাদেশ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বলে জেনেছি।
মৌলিক শেয়ারের বিনিয়োগ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই বাজার পড়বে না। দর কারেকশন হবে।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলের, তারা ১০ লাখ টাকা এনে খেলাধুলা শুরু করে দেয়। এ করতে গিয়ে কোনদিক দিয়ে সেই টাকা চলে যায়, পরে চিল্লাচিল্লি করে।
তবে এই বাজারে হাজারো বিনিয়োগকারী আছে বলে জানান তিনি। এখানে শুধু ছোট বা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী না, আমরাও আছি। আরও বড় বিনিয়োগকারী আছে। তারা কিন্তু আবেগ দিয়ে চলে না। তাদের লস নাই। তারা বিনিয়োগ করে।
Why Mutual funds do not move but junk share are highly move everyday how funny bd share market.