নির্ধারিত সময়ে জমা হয়নি শেয়ারবাজার স্থিতিশীল তহবিলের ৭৫% অর্থ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও পুঁজিবাজারের তারল্য সংকট দূর করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গঠিত ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে’ নির্ধারিত সময়ে নগদ ১২০০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও জমা হয়েছে মাত্র ২১০ কোটি টাকা। যা মোট অর্থের ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ এখনো জমা হয়নি ৭৫ শতাংশ টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন অবণ্টিত ও দাবিহীন পড়ে থাকা নগদ ও বোনাস লভ্যাংশ বাবদ ফান্ডের আকার দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। গত ৩০ আগস্টের মধ্যে বিএসইসিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর এ টাকা জমা দেওয়ার কথা ছিল।
সূত্র মতে, গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত মালিকানাহীন কিংবা মালিকানা জাটিলতায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানি ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের বিতরণ না হওয়া নগদ ও বোনাস লভ্যাংশ এবং ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংকে বিনিয়োগকারীদের পড়ে থাকা নগদ ১২০০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। এ নির্ধারিত সময়ে মাত্র ২১০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। অর্থাৎ ৭৫ শতাংশই এখনো জমা পড়েনি।
নগদ লভ্যাংশের মতই একই অবস্থা বোনাস শেয়ার জমা রাখার। গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ বাবদ ১৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকা বিএসইসির তহবিলে জমা হওয়ার কথা, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো জমা দেয়নি। এদিকে ১৫ হাজার কোটি টাকার দাবিদার ৩ হাজার ৩৮৬টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবের কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে।
তবে শিগগিরই এই অর্থ জমা হবে বলে আশা করছে বিএসইসি।