স্কুল খোলার বিষয়টি পুণঃবিবেচনার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট এক অভিভাবকের খোলা চিঠি
দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
প্রথমেই আপনাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি, দীর্ঘ ১৭ মাস পর আপনার নির্দেশে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ সময় পর আমাদের ছেলে মেয়েরা আবার স্কুলের পাঠদানে ফিরছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। তাই তাদের সুস্থতার ও সুরক্ষার কথা আমাদের সবার আগে ভাবতে হবে। করোনার এই সংকটকালীন মুহূর্তে অনেক উন্নত দেশের অর্থনীতির চাকা স্থবির হয়ে গেলেো আমাদের দেশে তা চলমান রয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ প্রায় সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা বীরের জাতি। কোনো কিছুতেে পিছুপা হতে আমরা শিখিনি। বঙ্গবন্ধুর মতাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমরা চাই একটি সোনার বাংলাদেশ গড়তে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা ভয়াবহ ছোবলের প্রভাব অনেকটাই কমে আসলেও বিভিন্ন সময এটি রূপ পরিবর্তন করে ফিরে আসছে। শিক্ষকদের ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের টিকাদান কর্মসূচি এখনো সম্পূর্ণভাবে সুনিশ্চিত করা হয়নি।বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। একটি শিশু একটি পরিবারের ভবিষ্যতের খোরাক। স্বজন হারানোর শোক আপনার থেকে ভালো আর কেউ উপলব্ধি করতে পারবে না। রাজধানীর একটি নামকরা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে আমার বাচ্চা লেখা পড়া করে। আমরা দুজনেই কর্মজীবী বিধায় বাচ্চাকে স্কুলের মনোনীত গাড়ি দিয়ে আনা নেওয়া করা হতো। এখন শুধুমাত্র প্রতিদিন আমার বাচ্চার ক্লাস থাকায় গাড়ির চালক তাকে আনা নেয়ার ব্যপারে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে। তাই বাধ্য হয়ে আমাকেই বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যেতে হবে। এমতাবস্থায় বাচ্চাকে প্রতিদিন বাসে করে স্কুলে যাতায়াত করতে হবে যাতে তার জন্য উচ্চ ঝুঁকির আশংকা রয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘ ১৭ মাস পর স্কুল খোলেই সমাপনী পরীক্ষার সিদ্ধান্ত ও বাচ্চাদের অত্যন্ত মানসিক চাপে ফেলে দিয়েছে। মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় বলেছেন করোনার সংক্রমণ বাড়ার প্রবণতা থাকলে আবার স্কুল বন্ধ করে দেয়া হবে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখনো করোনায় আক্রান্তের হার প্রায় ১০ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক সপ্তাহে আড়াই লাখ শিশু আক্রান্ত হয়েছে। আমাদের শিশুদের অনলাইন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তাদের সুরক্ষার বিষয়ে আগে ভাবতে হবে। বিরোধী দলীয় নেতা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রেস ব্রিফিং কের সরকারকে দ্রুত স্কুল খোলার দাবি জানিয়েছেন। করোনার ক্রান্তিলগ্নে সরকারের পক্ষ থেকে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়। কিন্তু বিরোধী দলের কাছ থেকে সরকারের সমালোচনা ছাড়া তারা এসময় আর কোনো নজির স্থাপন করতে পারেনি। দেশ ও জনগনের উন্নয়ন নয়, সুযোগের অপেক্ষায় উৎপেতে থাকা আর সুযোগ পেলে সরকারের সমালোচনা করা ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ নেই। যারা জীবন নিতে জানে জীবনের মূল্য তারা কি করে বুঝবে। আশ্বাস দেওয়া থেকে নিশ্বাস নিয়ে টানাটানি করা তাদের বদভ্যাসে পরিণত হয়েছে। একটি শিশুর জীবনের মূল্য কি তারা দিতে পারবে?
তাই বলতে চাই শুধুমাত্র দুটি ক্লাসের জন্য একটি শিশুকে ঝুঁকির মধ্যে না ফেলে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া হোক।অপরদিকে,পরীক্ষার বদলে পূর্ব ঘোষিত মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হলে শিশুদেরকে মানসিকভাবে চাপমুক্ত করা হবে। বিষয়টি পুনঃবিবেচনার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুলভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
School should open. Our children are going to out side regularly. They are going to market , relatives house, They are moving fully normal as like normal.
So for future school and college should open.
Thanks.
লেখাটা আমার নিকট গ্রহণযোগ্য।
holud sangbadikata R telbaji
sohomot
agreed