আজ: মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার |

kidarkar

ব্যাংক, এনবিএফআই এর অবণ্টিত লভ্যাংশ স্থানান্তরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আপত্তি

শেয়ারবাজার ডেস্ক: তালিকাভুক্ত কোম্পানির অবন্টিত লভ্যাংশ পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে স্থানান্তরের যে নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), তার সাথে একমত নয় বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যুক্তি, ব্যাংক কোম্পানি আইনের বিধান অনুসারে এই অর্থ স্থানান্তরের কোনো সুযোগ নেই।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বয় সভায় ব্যাংক ও এনবিএফআই-এর অবণ্টিত লভ্যাংশ পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে স্থানান্তরে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

সভা সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইপিআরএ) ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানায় ব্যাংক কোম্পানি আইনানুসারে, ব্যাংক হিসাবে থাকা নগদ আমানতের অর্থ যদি ১০ বছর পর্যন্ত অদাবীকৃত থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানি আইনানুসারে এ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পাঠিয়ে দেবে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকে এ অর্থ পাঠানোর পর দুই বছরের মধ্যে যদি কোনো দাবি উত্থাপিত না হয় তাহলে এ অর্থের ওপর কারো দাবি থাকবে না এবং সেটি সরকারের সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে। এ অর্থ তখন সরকারের কাছে ন্যস্ত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আইনের এ বিধানের উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বিএসইসির গঠন করা পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অদাবীকৃত নগদ লভ্যাংশের অর্থ স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অদাবীকৃত এ নগদ লভ্যাংশের অর্থ ব্যাংক হিসাবে নগদ আমানত হিসেবে জমা থাকে। ফলে ব্যাংক কোম্পানি আইনানুসারে এ অর্থ সংশ্লিষ্ট হিসাবধারীর অনুমোদন ছাড়া অন্য কোথাও স্থানান্তরের সুযোগ নেই।

সভায় বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, অবণ্টিত লভ্যাংশের অর্থের মালিকানা সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী ও ব্যাংক হিসাবধারীরই থাকবে। স্থিতিশীলতা তহবিলে স্থানান্তরের অর্থ ওই টাকা একেবারে দিয়ে দেওয়া নয়। শুধু কাস্টডিয়ান হিসেবে যতদিন পর্যন্ত এ অর্থের মালিকানা অদাবীকৃত থাকবে ততদিন সেটি পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার কাজে ব্যবহার করা হবে। যখন এ অর্থের প্রকৃত দাবিদার ফিরে আসবে কিংবা তার উত্তরাধিকারীরা উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে এ অর্থ নিয়ে যেতে পারবেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.