আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার |

kidarkar

বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ছাড়ালো ৪৭ লাখ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাসে এখনো বিপর্যস্ত সারাবিশ্ব। ঘাতক এই ভাইরাসে প্রাণহানি হয়েছে বিশ্বের ৪৭ লাখ মানুষের। তবে কিছুটা কমেছে করোনার তাণ্ডব। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭৬৪ জনের। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৭৮৪ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৪২ হাজার ৭৪৬ জন।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় করোনা বিষয়ে তথ্য রাখা আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এসব তথ্য জানিয়েছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৭ লাখ ৪৪ জনের। আর মোট শনাক্ত হয়েছেন ২২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৫ হাজার ৮১২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ কোটি ৫৫ লাখ ২২ হাজার ৩০ জন।

করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৮ লাখ ৬৬ হাজার ৮০৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ৯১ হাজার ৫৬২ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ২২৬ জন।

এরপরে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৪৭ হাজার ১০ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬৯ জন। আর ৩ কোটি ২৬ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫১ জন সুস্থ হয়েছেন।

তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে শনাক্তের সংখ্যা ২ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার ৩২৫ জন। এর মধ্যে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৫৪৭ জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ২ লাখ ৮০ হাজার ২৯৪ জন।

তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, তুরস্ক, ইরান, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, স্পেন ও ইতালি।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৮ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ১৮২ জন। আর ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৪ জন সুস্থ হয়েছেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।

সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশের অবস্থা আবারও খারাপ হচ্ছে।

এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ এবং শিশুদেরও টিকা দেওয়া শুরু করেছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.