আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, বুধবার |

kidarkar

পুঁজিবাজার উন্নয়েনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে কমিশন

শেয়ারবাজার ডেস্ক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জন করেছে। একই সাথে ২০৩০ সালের মধ্যে সাসটেইনেবল গোল অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কমিশনও পুঁজিবাজার উন্নয়েনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। করোনা মহামারীতেও সূচক ৭০০০ সূচকের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এছাড়াও বিএসইসি বর্তমানে বিভিন্ন গ্রীন প্রজেক্টে অর্থায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

নেদারল্যান্ডভিত্তিক গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড-এর যৌথ উদ্যোগে জুম প্লাটফর্মে ৩ দিনব্যাপী (১৪-২১ সেপ্টেম্বর) ‘OPreparing a sustainability report’ ’ শীর্ষক টেকনিক্যাল সিরিজের দ্বিতীয় ব্যাচের কর্মশালায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ১৪ সেপ্টেম্বর প্রশিক্ষণ কর্মশালাটির উদ্বোধন করা হয়।

এতে অংশগ্রহণ করেন বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচলিক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, জিআরআই দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক ড. অদিতি হালদার, ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া, ডিএসই’র উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আল-আামিন রহমান, মাহিন্দ্রা গ্রুপের চীফ সাসটেইনেবিলিটি অফিসার অনির্বান ঘোষ।

বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, সাসটেইনেবিলিটি অর্থনৈতিক সেক্টরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে সরকারি পর্যায় থেকে বিভিন্ন আইন-কানুন তৈরী করা হয়েছে। আর সাসটেইনেবিলিটি রির্পোটিং এর মানদন্ডসমূহ পরিপালনের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো উপকৃত হচ্ছে।

এসময় ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া বলেন, ডিএসই ও জিআরআই ২০১৮ সাল থেকে একসাথে পথ চলা শুরু করে। যেহেতু আমাদের সম্পদ সীমিত, এই সীমিত সম্পদকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে টেকসই উন্নয়ন করা যায় এ বিষয়ে কাজ করতে হবে। জিআরআই ও ডিএসই’র যৌথ উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উন্নয়ন আরও টেকসই করতে হবে। এর ফলে পুঁজিবাজার ও দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে কোম্পানিগুলো যাতে জিআরআই-এর মানদন্ড অনুযায়ী সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারে এ জন্য তিনি তালিকাভুক্ত এবং একই সাথে অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রতি আহবান জানান।

প্রশিক্ষণ কর্মশালার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএসই’র উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আল-আমিন রহমান জানান, ২০১৯ সালে এ বিষয়ক ১ম কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল যাতে ৪১টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫০ জন সিনিয়র কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন এবং অধিকাংশই তাদের প্রাথমিক রির্পোট প্রকাশ করেছেন । এবার ৪২ টি কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ কর্মশালায় যুক্ত হয়েছেন।

অনির্বাণ ঘোষ, চিফ সাসটেইনেবিলিটি অফিসার, মাহিন্দ্রা গ্রুপ, জিআরআই সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং এর সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করেন এবং এতে কিভাবে মাহেন্দ্রা গ্রুপ তথা ভারত লাভবান হচ্ছে, সে বিষয়েও আলোকপাত করেছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানির সিনিয়র অফিশিয়ালরা যাতে জিআরআই এর গবেষণালব্ধ উপকরণসমূহের যথাযথ ব্যবহার করে কোম্পানির সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট তৈরি ও প্রকাশ করে সে বিষয়ে তিনি আহবান জানান ।

কর্মশালার ২য় দিনে জিআরআই এর মানদন্ড অনুযায়ী সাসটেইনেবিলিটি রির্পোট প্রকাশ ও জলবায়ু রিপোর্টিং বিষয়ক পদ্ধতি সমূহ নিয়ে জিআরআই এর দক্ষিণ এশিয়ার ম্যানেজার, রুবিনা পালের পরিচালনায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন, তাহমিনা জামান খান, হেড অফ সাসটেইনেবিলিটি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, পল্লভী আত্রে, জিআরআই সাউথ এশিয়া, সন্দিপ রায় চৌধুরী, ভিএনভি এডভাইজরি।

মঙ্গলবার কর্মশালার সমাপনী দিনে গত ২ দিন এর সার সংক্ষেপ তুলে ধরা হয় এবং রিপোর্টিং প্রসেস সম্পর্কে আলোচনা করেন রুবিনা পাল, ম্যানেজার, জি আর আই সাউথ এশিয়া ও মোঃ রফিকুল ইসলাম, ম্যানেজার, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড।

পরবর্তীতে, ডিমিসটিফাই সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং শীর্ষক সেশনে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন কুমারাস্বামী চন্দ্রাশেখরা, হেড অফ সাসটেইনেবিলিটি, ইন্ডিয়া, বিএসআই, মোহাম্মাদ জাহিদুল্লাহ, চিফ সাসটেইনেবিলিটি অফিসার, ডিবিএল, পূজা সাহা, সহকারী ব্যবস্থাপক, ইএইচএস অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি, আইটিসি।

টেকনিক্যাল সিরিজ এর সমাপণী সেশন পরিচালনা করেন ডিএসই’র উপ-মহাব্যবস্থাপক, হেড অব প্রোডাক্ট এন্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ও জিআরআই-ডিএসই’র কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দ আল-আমিন রহমান। তিনি সকল অংশগ্রহণকারীদের অভিবাদন জানিয়ে বলেন, এই উদ্যোগটি সকল পক্ষের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং উপকারী এবং সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং এর ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সমাপণী সেশনে বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তারিক আমিন ভূইয়া ও আসথিলদুর জুলিতাদত্তির, এরিয়া কর্মকর্তা, জিআরআই, অস্ট্রেলিয়ান হাই-কমিশন টু বাংলাদেশ এর সেকেন্ড সেক্রেটারী ডানকান ম্যাককুলগ।

বক্তারা তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং এর গুরুত্ব ও সুবিধাসমূহ তুলে ধরেন যার প্রেক্ষিতে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, উপস্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় অচিরেই জিআরআই এর মানদন্ড অনুযায়ী সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশে সক্ষম হবে।

টেকনিক্যাল সিরিজের ওয়ার্কশপ শেষে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.