পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিশেষ তহবিল সুকুক বন্ডে বিনিয়োগের নির্দেশনা

শেয়ারবাজার ডেস্ক: গত ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে তফসিলি ব্যাংকের গঠন করা ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল সুকুক বন্ডে (শরীয়াহসম্মত বন্ড) বিনিয়োগ করার নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নির্দেশনা অনুসারে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনিয়োগের সুযোগ পাবে ব্যাংকগুলো। ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারী করে। আজকেই দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে সেটা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুসারে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত ২০০ কোটি টাকার তহবিলের সম্পূর্ণ অংশ (লভ্যতা অনুসারে) ন্যূনতম ৭০ শতাংশ সৌর বিদ্যুৎ, বায়ুশক্তি চালিত বিদ্যুৎ, জল বিদ্যুৎ, বায়োমাস ইত্যাদি নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বেসরকারি উদ্যোক্তা কর্তৃক ইস্যুকৃত তালিকাভুক্ত বা সাবস্ক্রিপশন ক্লোজিংয়ের তারিখ হতে এক বছরের মধ্যে তালিকাভুক্ত হবে এরূপ ১০০ শতাংশ অ্যাসেট ব্যাকড গ্রীন সুকুক এ বিনিয়োগ করা যাবে। সেক্ষেত্রে শর্তাবলী দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিনিয়োগের শর্তাবলী, বিনিয়োগযোগ্য সুকুকের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ইসতিসনা সুকুক, সালাম সুকুক, ইজারাহ সুকুক এবং এই ৩ ধরনের সুকুকের সমন্বয়ে গঠিত হাইব্রিড সুকুকে এই অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে। সুকুকের তহবিল ব্যবহারের ক্ষেত্রে, পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ মার্জিনে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে, পণ্য ১২০ দিনের মধ্যে জাহাজীকরণ/সরবরাহ করার শর্ত থাকতে হবে, সমস্ত স্থানীয় ব্যয় (যদি থাকে) ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে এবং প্রকল্প উন্নয়নে সর্বোচ্চ ৮ মাস সময় বরাদ্দ থাকতে পারবে।
অন্যান্য শর্ত, সুকুক-এর তহবিল Special Purpose Vehicle এর (এসপিভি)নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে সংরক্ষণ করতে হবে। উক্ত ব্যাংক হিসাব হতে সুকুকের জন্য নির্ধারিত সুনির্দিষ্ট ব্যয় ব্যতীত অন্য কোন খাতে খরচ/কর্জ প্রদান করা যাবে না। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে কোন কারণে বিএসইসি কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুকুকের সাবস্ক্রিপশন সম্পূর্ণ না হলে বা সুকুক ইস্যুর বিষয়টি বাতিল হলে সংশ্লিষ্ট এসপিভি কর্তৃক এক সপ্তাহের মধ্যে বিনিয়োগকারী ব্যাংকসমূহকে সমুদয় অর্থ ফেরত প্রদান করতে হবে।
এ বিষয়ে সুকুকের ট্রাস্টি, এসপিভি এবং বিনিয়োগকারী ব্যাংকসমূহের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। সেকেন্ডারী মার্কেট বা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বা উভয় প্রকারে কোন সুকুকের মোট ইস্যুর ১০ শতাংশ এর বেশি পরিমাণ কোন ব্যাংক বিনিয়োগ করতে পারবে না।রূপান্তকারী সুকুকের ক্ষেত্রে কনভারশনের পর ইক্যুয়িটি ধারণ যাতে ১০ শতাংশ এর বেশি না হয়, তা বিনিয়োগকারী ব্যাংককেই নিশ্চিত করতে হবে। অতালিকাভুক্ত সুকুকে বিনিয়োগের পূর্বে সাবস্ক্রিপশনের তারিখ হতে এক বছরের মধ্যে তালিকাভুক্তির বিষয়ে ট্রাস্টি, এসপিভি, ইস্যুয়ার এবং বিনিয়োগকারী ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে হবে।
এছাড়া বিনিয়োগের অনুপাত সুকুক ব্যতীত সার্কুলঅরে বর্ণিত অন্য যে কোন উপাদানে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ পরিমাণ ২০০ কোটি টাকার তহবিলের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে বলে জানানো হয়েছে।