আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার |

kidarkar

করোনাতেও কোটিপতি বাড়ছে

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকার বেশি জমা থাকা হিসাব সংখ্যা বাড়ছেই। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ব্যাংক খাতে কোটিপতি গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে ৫ হাজার ৬৪৬টি। বর্তমানে দেশে কোটিপতি হিসাব ৯৯ হাজার ৯১৮টিতে উন্নীত হয়েছে।

বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোটিপতি হিসাব বেড়েছিল ৩৮২টি। অর্থাৎ ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) কোটিপতি হিসাব বেড়েছে ৬ হাজার ২৮টি। যার ৯৪ শতাংশই বেড়েছে দ্বিতীয় প্রান্তিকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র বলছে, গত জানুয়ারিতে ব্যাংকে কোটিপতি হিসাব ছিল ৯৩ হাজার ৮৯০টি। মার্চ শেষে কোটিপতি হিসাব বেড়ে ৯৪ হাজার ২৭২টিতে উন্নীত হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশের ব্যাংক খাতে ১০ হাজার ৫১টি নতুন কোটিপতি ব্যাংক হিসাব যোগ হয়। কোটিপতি হিসাবগুলোতে আমানত যোগ হয় ৬৮ হাজার কোটি টাকার বেশি।

এদিকে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে কোটিপতিদের আমানত বেড়েছে ৩৯ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। প্রাপ্ত তথ্য অনযায়ী, গত জুন শেষে কোটিপতি হিসাবগুলোতে জমা ছিল মোট ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা। গত জানুয়ারিতে কোটিপতি হিসাবগুলোতে আমানত ছিল ৫ লাখ ৯৫ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা।

কোটিপতি হিসাব সংখ্যা ও আমানতের পরিমাণ বাড়তে থাকায় মোট আমানতে কোটিপতিদের অবদানও বাড়ছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে মোট আমানতে কোটিপতিদের অবদান ছিল ৪৪ দশমিক ০৮ শতাংশ। জুন শেষে ব্যাংকগুলোতে খোলা সব ধরনের হিসাবগুলোতে জমা ছিল ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোতে ১২ কোটি ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ব্যাংক হিসাব খোলা হয়। এই হিসাবগুলোর শূন্য দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ হিসাব কোটিপতিদের।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকা জমা থাকা হিসাব ছিল ৮৩ হাজার ৮৩৯টি। হিসাবগুলোতে জমা ছিল ৫ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা। যা ছিল ওই সময়ের মোট আমানতের ৪৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.