যে কারণে ফারইস্ট ইসলামীর শেয়ার দরে ধারাবাহিক পতন
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পারি লিমিটেডের শেয়ার দর ধারাবাহিকভাবে কমছে। সেপ্টেম্বর মাসের ২৩ তারিখে শেয়ারটি ৭৩ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়। তবে চলতি মাসের ১৮ তারিখে শেয়ারটির দর দাঁড়ায় ৫৮ টাকা ৪০ পয়সায় বিক্রি হয়। তবে আজ বৃহস্পতিবার সামান্য বেড়ে শেয়ারটি ক্লোজিং হয়েছে ৬২ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসেরও কম সময়ে শেয়ারটির দর কমেছে ১১ টাকা ৯০ পয়সা।
কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যানের দুর্নীতি ও এমডির অপসারণের খবরে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা বলছেন, কোম্পানির যেকোন নেতিবাচক খবরে সরাসরি শেয়ারবাজারে প্রভাব ফেলে।
তবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বলছে, শেয়ার দর ওঠানামা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটার জন্য সাম্প্রতিক বিষয়গুলো জড়িত কিনা বিনিয়োগকারীরাই ভালো বলতে পারবে।
জানা গেছে, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআর) তদন্ত কমিটি গঠন এবং কোম্পানির এমডিকে অপসারণের খবরে কোম্পানিটির শেয়ারে অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে। ফলে দর কমছে।
আবদুল আওয়াল নামের একজন বিনিয়োগকারী বলেন, যে কোম্পানি নিয়ে এতো সমালোচনা তার শেয়ারদরে প্রভাব পড়া স্বাভাবিক।
সাবেক চেয়ারম্যানের দুর্নীতি ও এমডির অপসারেণে শেয়ার দরে প্রভাব পড়েছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফারইস্টের কোম্পানি সচিব মাহামুদুল হাসান এফসিএ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে কোম্পানিটির শেয়ার বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলাম শেয়ারবাজারনিউজকে বলেন, শেয়ার দর ওঠানামা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ধারাবাহিকভাবে দর কেন কমছে তা বিনিয়োগকারীরাই ভালো বলতে পারবেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বশেষ ২০১৯ সালে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। এরপর আর কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।
২০০৫ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কোম্পানিটির ৩০ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার কোম্পানির উদ্যোক্তা/পরিচালকদের কাছে রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪২ দশমিক ৫১ শতাংশ। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৬ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ার।
নজরুল, হেমায়েত, মাজেদ, চোরদের কারনে এ অবস্থা।