সূচক কমলেও লেনদেন কিছুটা বেড়েছে: মূলধন কমেছে ছয় হাজার কোটি টাকা
শেয়ারবাজার ডেস্ক : গত সপ্তাহ পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারের। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারের সবগুলো সূচকই কমেছে। একই সাথে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনি দর। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন দেড় হাজার কোটি টাকা বেশি হয়েছে। সপ্তাহটিতে বাজার মূলধন কমেছে ছয় হাজার কোটি টাকা।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫১ কোটি ২৪ লাখ ৬১ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৮ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ছয় হাজার ৩৫২ কোটি ৬৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে।
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাত হাজার ৫৫০ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৬৫৩ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ছয় হাজার ৪৩ কোটি ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯৩৫ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন এক হাজার ৫০৭ কোটি ৯ লাখ ৯১ হাজার ৭১৮ টাকা বা ২৫ শতাংশ বেড়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩.৮৭ পয়েন্ট বা ০.২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৬২.৩৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩৮.৭৭ পয়েন্ট বা ২.৫৫ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬০.৪৩ পয়েন্ট বা ২.২৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৭৯.৩৯ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৬৩৮.৯১ পয়েন্টে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৫টির বা ৫৪.২৩ শতাংশের, কমেছে ১৫৫টির বা ৪১ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির বা ৪.৭৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৫৮ কোটি ৯৭ লাখ ৮৪ হাজার ৮২২ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২২৮ কোটি ৯৮ লাখ ১২ হাজার ২৪৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ২৯ কোটি ৯৯ লাখ ৭২ হাজার ৫৭৪ টাকা বা ১৩ শতাংশ বেড়েছে।
সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৪.৪৫ পয়েন্ট বা ০.৩১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬২৮.৯০ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৭৪টির বা ৫১.৬৩ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৪৮টির বা ৪৩.৯২ শতাংশের কমেছে এবং ১৫টির বা ৪.৪৫ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
আমি খুব চিন্তায় আছি , শেয়ার বাজার নিয়ে,কারন ৫ পয়েণ্ট বারলে দেখাযায়,২০ পয়েণ্ট্ পরে, যা হোক আমার মনে হয়,বড় বিনিয়োগ কারিরা কোন ধরনের চালবাজি করতাছে,কিন্তূ তা পারবে না কারন কমিশন এখন খুব শক্তিশালী