আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ অক্টোবর ২০২১, শনিবার |

kidarkar

এসএমই’র কোম্পানি পর্যবেক্ষণে ‘স্মল ক্যাপ ইউনিট’ গঠন 

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের শেয়ারবাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই-সিএসই) এসএমই কোম্পানির জন্য গঠিত স্মল ক্যাপ প্ল্যাটফর্মে বেশ কিছু কোম্পানি ইতোমধ্যে লেনদেন করছে। ওই কোম্পানির লেনদেন সূচারুরূপে পরিচালনা করা ও কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে ‘স্মল ক্যাপ ইউনিট’ গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।

‘স্মল ক্যাপ ইউনিট’ গঠনের ফলে এসএমই কোম্পানিগুলোর সুশাসন, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত হবে বলে মনে করে বিএসইসি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় ‘স্মল ক্যাপ ইউনিট’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

বিএসইসি’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিএসইসি’র এসআরএমআইসি বিভাগের অধীনে একজন পরিচালকের দায়িত্বে ‘স্মল ক্যাপ ইউনিট’ গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএসইসির প্রশাসন ও অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ‘স্মল ক্যাপ ইউনিট’ এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এখনও কোনো কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তবে এ বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছেন বিএসইসি’র কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহেমেদ। বর্তমানে তার নেতৃত্বে এই ইউনিটের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে।

তথ্য মতে, বর্তমানে ডিএসই ও সিএসইতে মোট ৭টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। তবে সিএসইতে নিয়ালকো অ্যালয় নামে কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত থাকলেও ডিএসইতে নেই। ঠিক একইভাবে ডিএসইতে হিমাদ্রি নামে কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত থাকলেও সিএসইতে নেই।

ডিএসই ও সিএসই’র এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেন করা কোম্পানিগুলো হলো- মাস্টার ফিড এগ্রোটেক, অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, ওটিসি ফেরত অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিসিং মিলস, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েস, হিমাদ্রি, বেঙ্গল বিস্কুট ও নিয়ালকো অ্যালয়।

বিএসইসি’র মতে, দেশে এসএমইতে প্রায় এক লাখ কোম্পানি আছে। এর মধ্যে অধিকাংশ কোম্পানি মুনাফা করে। কিন্তু, তাদের আর্থিক হিসাব সঠিকভাবে করা হয় না। এছাড়া, এসএমই কোম্পানিগুলো অদক্ষ জনবলের ওপর নির্ভরশীল। এসব কারণে কোম্পানিগুলোতে অনেক বেশি ব্যয় হয়। তাই দক্ষতা বাড়াতে ডিএসই ও এসএমই ফাউন্ডেশন একসঙ্গে কাজ করছে। এসএমই কোম্পানিগুলোকে অর্থ সংস্থানের জন্য ঋণ নিতে হয়। তবে, শেয়ারবাজারে এসএমই প্ল‌্যাটফর্ম যাত্রা শুরুর মাধ্যমে এসএমই কোম্পানিগুলো স্টক এবং ডেবট সিকিউরিটিজ ইস্যুর সুযোগ পেয়েছে। একই সঙ্গে কোম্পানিগুলোর সুশাসন, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত হবে।

এদিকে এসএমই কোম্পানিগুলোর তথ্য সঠিক সময়ে প্রকাশের জন্য ডিএসইর ম্যানেজমেন্টকে অনলাইন ড‌্যাশবোর্ড প্রস্তুতের আহ্বান জানিয়ে বিএসইসি। এর ফলে এসএমই কোম্পানিগুলো তাদের আর্থিক হিসাবসহ অন্যান্য বিষয় দ্রুত বিনিয়োগকারীদের উদ্দশ্যে প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে মনে করে বিএসইসি।

এ বিষয়ে বিএসইসি’র কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহেমেদ বলেন, ‘আমরা স্মল ক্যাপ ইউনিট নামে একটি সেল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই এসএমই প্ল্যাটফর্ম দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে একটি বিশাল ইউনিটে পরিণত হবে। সে জন্য আমরা আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সর্তকতার সঙ্গে এগোচ্ছি। আমরা গত বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) এসএমই প্ল্যাটফর্মের জন্য মামুন অ‌্যাগ্রো প্রোডাক্টস নামক নতুন একটি কোম্পানিকে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন দিয়েছি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.