আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ নভেম্বর ২০২১, শনিবার |

kidarkar

পতন শেয়ারবাজারে বাজার মূলধন কমেছে ১২ হাজার কোটি টাকা

শেয়ারবাজার রিপোর্ট : গত সপ্তাহেও পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারের সবগুলো সূচক কমেছে। একই সাথে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনি দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও। আর পতনের কারণে সপ্তাহটিতে বাজার মূলধন ১২ হাজার কোটি টাকা কমেছে।

জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৮ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৫ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৮ কোটি ১২ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৩ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১১ হাজার ৯৪০ কোটি ৪৮ লাখ ৬ হাজার ৪৯২ টাকা বা ২.১২ শতাংশ বাজার মূলধন হারিয়েছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ছয় হাজার ৪৩০ কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৮৫৭ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল সাত হাজার ৫৫০ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৬৫৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন এক হাজার ১১৯ কোটি ৭২ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৬ টাকা বা ১৫ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫৫.৬৪ পয়েন্ট বা ২.২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৯০৬.৭২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৭.২১ পয়েন্ট বা ১.১৬ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৭.৬৩ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৬২.১৮ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৬০১.২৮ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯০টির বা ২৩.৮১ শতাংশের, কমেছে ২৭০টির বা ৭১.৪৩ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির বা ৪.৭৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২০৮ কোটি ৬১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪৬ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৫৮ কোটি ৯৭ লাখ ৮৪ হাজার ৮২২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৫০ কোটি ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৭৬ টাকা বা ১৯ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৩০.৯২ পয়েন্ট বা ২.০৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ১৯৭.৯৮ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২৫৯.৮৯ পয়েন্ট বা ২.০৯ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৪৪৭.৭৬ পয়েন্ট বা ৩.০৯ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৯.১৮ পয়েন্ট বা ১.৯০ শতাংশ এবং সিএসআই ১২.৯৯ পয়েন্ট বা ১.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ১৩২.৫৭ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ৩৮.০৪ পয়েন্টে, ১ হাজার ৫০৫.৭২ পয়েন্টে এবং এক হাজার ২৬২.৪৬ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮৭টির বা ২৫.৫৯ শতাংশের দর বেড়েছে, ২৪০টির বা ৭০.৫৯ শতাংশের কমেছে এবং ১৩টির বা ৩.৮২ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

১ টি মতামত “পতন শেয়ারবাজারে বাজার মূলধন কমেছে ১২ হাজার কোটি টাকা”

  • মোঃ সাহাব উদ্দিন মোল্লা says:

    বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার অতিমূল্যায়িত ওয়ার কারণে শেয়ার বাজার আজকে এই অবস্থা কারণ হিসাবে 2010 সালে শেয়ারবাজারের বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর পরিচালকদের মালিকদের ফিফটি পার্সেন্ট শেয়ার ধারণ করার আইন পাস হয়েছিল কিন্তু অনেক দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এ আইনটি কার্যকর হয় নাই। বর্তমান ইন্সুরান্স অথরিটি পুনরায় এই প্রজ্ঞাপনটি জারি করে তাতে দেখা যায় মালিকেরা যদি ফিফটি পার্সেন্ট শেয়ার ধারণ করে তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কি উপকার হবে তথাপিও এই প্রজ্ঞাপন কে অনুসরণ করে কারসাজি রা বীমা খাতের কোম্পানিগুলো কে অতিমূল্যায়িত করে 6 গুণ বেশি দামে বিক্রি করে দিয়ে এখন কেটে পড়েছে এহেন অবস্থায় এই বাজারে কি হবে । সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অনেক বড় ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.