সিএনজি চালিত গণপরিবহন ১৯৬টি
জাতীয় ডেস্ক: রাজধানীতে চলাচল করা প্রায় ছয় হাজার গণপরিবহনের মধ্যে মাত্র ১৯৬টি সিএনজিচালিত বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ।
বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে বাস ভাড়া পুনঃ নির্ধারণ ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন তিনি।
এনায়েতুল্লাহ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে বাস-মিনিবাসের ভাড়া পুনঃ নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বলা হচ্ছে, ঢাকা এবং দূরপাল্লার বাস-মিনিবাসের ৮০-৯০ শতাংশ সিএনজিচালিত। এসব বাসে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ১২০টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৩ কোম্পানির ১৯৬টি বাস-মিনিবাস সিএনজিচালিত পেয়েছি। এটা মোট গণপরিবহনের ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ মাত্র।
তিনি আরও বলেন, ১০ থেকে ১২ বছর আগে ঢাকায় সিএনজিচালিত গাড়ি চলাচল করত। এখন এসব বাস মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এখন যে কয়েকটি বাস চলছে, সে সব বাসেও আগামী তিন দিনের মধ্যে স্টিকার লাগানো হবে। তখন বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়া নিতে হবে। এই গাড়িগুলো যাতে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে না পারে সেজন্য মালিক-শ্রমিকদের সমন্বয়ে ১১টি ভিজিল্যান্স টিম মাঠে থাকবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সিটিং সার্ভিস এবং গেইটলক সার্ভিস থাকবে না জানিয়ে এনায়েতুল্লাহ বলেন, সিটিং সার্ভিসে কোনো নিয়ম-নীতি নেই। তারা নিজের মতো করে যাত্রী পরিবহন করে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি হয়। তাই সিটিং বা গেটলক সার্ভিস থাকবে না।