আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ নভেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

জ্বালানী তেলের দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি: এফবিসিসিআই সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের পক্ষ থেকে জ্বালানী তেলে দাম বাড়ানোর কারণে ব্যবসায়ীরা সমস্যার মধ্যে পড়বে। তাই এই মূহূর্তে জ্বালানী তেলের দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এফবিসিসিআইর সভাপতি জসিম উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) এফবিবিসিআই’র নিজস্ব ভবনে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে এফবিবিসিআই’র নেতৃত্বে বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফরেরর উপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলেন তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় জসিম উদ্দিন বলেন, তেলের দাম কম থাকা অবস্থায় ব্যবসায়ীরা যেসব কাজ হাতে নিয়েছে তারা খরচ এখন বেড়ে যাবে। এতে সমস্যায় পড়তে হবে তাদের। এ কারণে তেলের দাম ডলারের দামের সাথে সমন্বয় করা উচিৎ। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমে যাবে বাংলাদেশেও কমবে। আর যখন বাড়বে তখন বাংলাদেশেও বাড়বে। এতে একসাথে তেলের দাম ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না। আমাদের এখানে কোন জিনিসের দাম একবার বাড়লে আর কমনোর ঠিক থাকে না। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে গেছে, সামনে আরও কমবে। তাই বাংলাদেশের বাজারে তেলের দাম কমানো দরকারও বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

এফবিসিসিআইর সভাপতি বলেন, ব্যান্ডিং বাংলাদেশ এখন সময়ের দাবি। আগে আমরা শুধু তৈরি পোশাক শিল্পের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিচিত ছিলাম। এখন আমরা লেদার, জাহাজ, সিরামিকসসহ অন্যান্য পণ্যও রপ্তানি করছি। এই বাজার আরও বাড়াতে হবে। না হলে আগামীর বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা কঠিন হবে।

তিনি বলেন, বিদেশি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশকে তাদের মার্কেট মনে করতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সফরে আমরা ৬টি বাণিজ্য চুক্তি করেছি। ইউকে মার্কেট ও ফ্রান্স মার্কেটে আগামীতে আমাদের বাণিজ্য আরও বাড়বে। এছাড়া আমরা বিদেশে অবস্থানরত দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশিদের আমাদের ব্যবসার সাথে যুক্ত করার চেষ্টা করছি। তারাই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে নেতৃত্ব দেবে।

জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন ডলার। বাণিজ্য ঝুঁকি মোকাবেলা করতে আমাদের এটাকে ৩০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ২০২৯ সাল পর্যন্ত জিএপি সুবিধা পাবে বলেও মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা। তিনি বলেন, আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পর যদি ২০২৯ সালের পর্যন্ত বাণিজ্য সুবিধা বা জিএসপি সুবিধা পাই তবে আমরা বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ নিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, করোনার প্রভাবের কারণে খেলাপি ঋণ কিছুটা বেড়েছে। আমাদের ব্যবসায় ঝুঁকির মধ্যে আছে। তবে আগামী বছরের মধ্যেই আমরা তা ছড়িয়ে আসতে পারবো। ৯৯ শতাংশ ব্যবসায়ীই লোন নিয়ে তা পরিশোধ করে দেওয়ার মনোভাব রাখে। এক শতাংশ ব্যবসায়ী আছে যারা বিভিন্ন প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে। তবে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে আমরা সরকারের সাথে কাজ করছি। কারণ ব্যাংকিং খাত আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখছে। বিশেষ করে পাওয়ার সেক্টরে যেসব উন্নয়নগুলো হয়েছে সেগুলো কিন্তু বেশিরভাগই দেশিয় ব্যাংকের লোনের মাধ্যমে হয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.