বৈরী আবহাওয়ায় পায়রা বন্দরে আজও তিন নম্বর সতর্ক সংকেত
জাতীয় ডেস্ক: লঘুচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় আজো বিরাজ করছে বৈরী আবহাওয়া। বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলেও আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। শীতের তীব্রতা কিছুটা বেড়েছে।
বৈরী আবহাওয়ায় শহরে মানুষের আনাগোনা কিছুটা কমেছে। গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে ভাঙা সড়কগুলোতে পানি জমে একাকার হয়ে গেছে। অধিকাংশ উপজেলার আমন ধান, সবজি চাষি ও কুয়াকাটা সৈকতের শুঁটকি ব্যবসায়ীদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে রাঙ্গাবালী উপজেলার অধিকাংশ আগাম তরমুজ চাষিদের ক্ষেতে পানি জমে বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। তবে তরমুজ ক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরুপণ করতে পারেনি কৃষি বিভাগ।
এদিকে উপকূলীয় এলাকা দিয়ে এখনো ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। তাই পায়রা বন্দরসহ সব সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
কলাপাড়া পৌর শহরের লঞ্চঘাট এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী মানিক মিয়া জানান, গত তিনদিন ধরে অনবরত বৃষ্টি হচ্ছে এবং শীতও কিছুটা বেড়েছে। বাজারে মানুষের আনাগোনা কিছুটা কম। তাই বেচা কেনা তেমন একটা নেই।
ব্যাটারিচালিত অটো রিকশাচালক সিদ্দিক মিয়া জানান, রাস্তায় মানুষের আনাগোনা তেমন একটা নেই। গত তিনদিনে আয় রোজগারের অবস্থা খুবই খারাপ।
রাঙ্গাবালী উপজেলার গাইয়াপাড়া লঞ্চঘাট এলাকার তরমুজ চাষি হাসান মিয়া, তিন বিঘা জমিতে তরমুজ দিয়েছি। প্রায় ১৫ দিন আগে বীজ রোপণ করেছি। এতে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। চারাগুলো বেশ ভালই হয়েছিলো। কিন্তু তিন দিনের বৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে।
অপর তরমুজ চাষি রহিম উদ্দিন জানান, টানা বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমে গেছে। তরমুজের সব বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। সকল কষ্টই বৃথা হয়ে গেছে। বড় লসের মুখে পড়লাম।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যে লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হতে পারে। আশা করা যাচ্ছে, বিকাল থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে বৃষ্টিও কমে যাবে। তবে শীত কিছুটা বা,ড়তে পারে।