স্বল্প মূলধনী ৬৪ কোম্পানিকে মূলধন বাড়ানোর নির্দেশ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬৪টি স্বল্প মূলধনী কোম্পানিকে পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত ৯ ডিসেম্বর বিএসইসির সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মিনহাজ বিন সেলিম সই করা চিঠিটি সকল কোম্পানিতে পাঠানো হয়েছে।
একই সাথে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পারিচালক, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পারিচালক এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অফ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পারিচালকে চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বিএসইসি বলেছে, স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ডে থাকতে হলে কোম্পানিগুলোর মূলধন বাড়াতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলো মূল বোর্ডে থাকতে পারবে না। বর্তমানে মূল বোর্ডে লেনদেন করার জন্য কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বিএসইসি স্বল্প মূলধনীর সামগ্রিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করার জন্য একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর আর্থিক পারফরম্যান্সের উন্নতির সুপারিশ প্রদানের নির্দেশনা দেয়। কোম্পানিগুলোকে কমিশনের চিঠি পাওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে তাদের পরিকল্পনা প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
স্বল্প মূলধনী এই ৬৪টি কোম্পানির মধ্যে ১৩টি কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি টাকার নিচে, ১৭টি কোম্পানির ১০ কোটি টাকার নিচে, ২০টি কোম্পানির ২০ কোটি টাকার নিচে এবং বাকি কোম্পানিগুলোর ৩০ কোটি টাকার নিচে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ২০টি কোম্পানি লোকসান করেছে। বাকিদের মধ্যে সিংহভাগ কোম্পানির আর্থি অবস্থা খুব বেশি ভালো নয়।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে যাদের পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি টাকার উপরে রয়েছে, সেগুলোকে ৩০ জুন ২০২২ এর মধ্যে পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে হবে। অন্যদিকে, যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি টাকার নিচে রয়েছে, সেগুলোকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ এর মধ্যে পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে হবে।
বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এ বিষেয় বলেন, ‘আমরা স্বল্প পরিশোধিত কোনো কোম্পানি দেখতে চাই না। কারণ এগুলো বাজারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করছে। একটি চক্র বছরজুড়ে এসব কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি চালাচ্ছে।’ কোম্পানিগুলোর মধ্যে যারা মূলধন বাড়াতে ব্যর্থ হবে সেগুলোকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যদি এসএমই প্ল্যাটফর্মে প্রেরণ করার মতো অবস্থা না থাকে, তাহলে অন্য বিকল্প ব্যবস্থানেওয়া হবে।
২০ কোটি টাকার উপরে মূলধনী কোম্পানি: সিনো বাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ ২০ কোটি টাকা, রহিমা ফুডস কর্পোরেশন ২০ কোটি টাকা, এইচআর টেক্সটাইল ২৫.৩ কোটি টাকা, সোনার গাঁও টেক্সটাইল ২৬.৫ কোটি টাকা, আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস ২২.৩ কোটি টাকা এবং মেঘনা সিমেন্ট মিলস ২৭.৩ কোটি টাকা।
২০ কোটি টাকা নিচে মূলধনী কোম্পানি: আজিজ পাইপ ৫.৩ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ল্যাম্প ৯.৪ কোটি টাকা, মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারিজ ২.৭ কোটি টাকা,বাংলাদেশ অটোকার্স ৪.৩ কোটি টাকা, রেনউইক যগেশ্বর ২ কোটি টাকা, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ১৫.২ কোটি টাকা,কে অ্যান্ড কিউ ৪.৯ কোটি টাকা, রংপুর ফাউন্ডেরি ১০ কোটি টাকা, অ্যাপেক্স ফুডস ৫.৭ কোটি টাকা, বঙ্গজ ৭.৬ কোটি টাকা, জেমেনি সি ফুডস ৪.৭ কোটি টাকা ন্যাশনাল টি কোম্পানি ৬.৬ কোটি টাকা, জিলবাংলা সুগার মিলস ৬ কোটি টাকা, এগ্রিকালচার মার্কেটিং (প্রাণ) ৮ কোটি টাকা টাকা, শ্যামপুর সুগার মিলস ৫ কোটি টাকা, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ ১২ কোটি টাকা, মেঘনা কনডেস্ক মিল্ক ১৬ কোটি টাকা, ফাইন ফুডস ১৪ কোটি টাকা, ইউনিলিভার কনজ্যুমার ১২ কোটি টাকা।
সিভিও পেট্টোক্যামিকেল রিফাইনারি ২৫.২ কোটি টাকা, লিন্ডে বাংলাদেশ ১৫.২ কোটি টাকা, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ১ কোটি টাকা, জুট স্পিনার্স ১.৭ কোটি টাকা, নর্দান জুট ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি ২.১ কোটি টাকা, সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ ২.৭১ কোটি টাকা, স্ট্যাইল ক্রাফ্ট ১৩.৯ কোটি টাকা,রহিম টেক্সটাইল মিলস ৯.৫ কোটি টাকা, দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস ৭.৬ কোটি টাকা,অ্যাপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস ৮.৪ কোটি টাকা, আনলিমা ইয়ার্ন ডায়িং ১৭.৯ কোটি টাকা।
এম্বি ফার্মাসিটিউক্যালস ২.৪ কোটি টাকা, রেকিট বেনকিজার ৪.৭ কোটি টাকা,ফার্মা এইডস ৩.১ কোটি টাকা, কহিনুর ক্যামিকেলস ২২.২ কোটি টাকা, ওয়াটা ক্যামিকেলস ১৪.৮ কোটি টাকা,লিব্রা ইনফিউশন ১.৫ কোটি টাকা, অরিয়ন ইন্ডাস্ট্রিজ ২০.৪ কোটি টাকা,
ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ ৭.৭ কোটি টাকা, জিএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যালস ডিভাইস ২২.১ কোটি টাকা, হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপারস মিলস ১৯ কোটি টাকা, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস ১৮.৩ কোটি টাকা, বাংলাদেশ মনুসপুল পেপার ৯.৪ কোটি টাকা, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ১০.৫ কোটি টাকা, শমরিতা হাসপাতাল ১৮.৯ কোটি টাকা।
ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক ১০.৯ কোটি টাকা, অ্যাপেক্স ট্যানারি ১৫.২ কোটি টাকা, বাটা সু ১৩.৭ কোটি টাকা, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার ১১.৩ কোটি টাকা, শমতা লেদার কমপ্লেক্স ১০.৩ কোটি টাকা, লিগেসি ফুটওয়্যার ১৩.১ কোটি টাকা,
স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ ৬.৫ কোটি টাকা, অ্যারামিট ৬ কোটি টাকা, জিকিউ বল পেন ইন্ডাস্ট্রিজ ৮.৯ কোটি টাকা, উসমানিয়া গ্লাস সিট ফ্যাক্টরি ১৭.৪ কোটি টাকা, সাভার রিফেক্টরিজ ১.৪ কোটি টাকা, দেশ গার্মেন্টস ৭.৫৩ কোটি টাকা, এবং প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ১৬.৬ কোটি টাকা।
if management is poor the increased fund will accelerate more lose.
Very very important step for Bangladesh stock exchange