ইসলামিক ফাইন্যান্সের এমডি পদে বসতে পারবেন না মনজুর লিয়াকত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে চৌধুরী মনজুর লিয়াকতের নিয়োগের আবেদন বাতিল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ইসলামিক ফাইন্যান্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের নীতি ও নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে চৌধুরী মনজুর লিয়াকতকে নিয়োগের আবেদন করা হয়। এ আবেদনের পর্যালােচনা এবং আমানতকারীদের স্বার্থে চৌধুরী মনজুর লিয়াকতকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়ােগের অনাপত্তি দেয়া গেল না। একই সঙ্গে খুব শিগগিরই একজন স্বচ্ছ ইমেজের যােগ্য ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়ােগের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে ২০১৯ সালে চৌধুরী মনজুর লিয়াকত ইউনিয়ন ক্যাপিটালের এমডি হন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় সব সূচকেই শক্ত অবস্থানে থাকা ইউনিয়ন ক্যাপিটাল তার সময় প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক সূচক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে চলে যায়। তার হাতে দায়িত্ব আসার পর থেকেই অধঃপতনে যেতে থাকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগ রয়েছে তিনি প্রতিষ্ঠানের উন্নতির চেয়ে ব্যক্তিগত উন্নতিতেই বেশি মনোযোগী ছিলেন। এতে ইউনিয়ন ক্যাপিটালের আমানতকারীরা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। এসব কারণেই ইসলামিক ফাইন্যান্সের এমডি হিসেবে তার নিয়োগের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
ইউনিয়ন ক্যাপিটালে যোগদানের আগে তিনি ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চৌধুরী মনজুর লিয়াকত এবি ব্যাংক লিমিটেডে শিক্ষানবিশ অফিসার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।