সাকিবের পিপলস ব্যাংকের সময় বৃদ্ধির আবেদন বাতিল
নিজস্ব প্রতিবেদক: শর্ত পূরণ করতে না পারায় পিপলস ব্যাংকের সময় বৃদ্ধির আবেদন বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্ত পরিচালক সংযুক্তির আবেদন বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানা গেছে। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী ছাড়া নতুন করে ২১ জন পরিচালক যুক্ত করার আবেদন ছিল। প্রস্তাবিত ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক হতে চেয়েছিলেন বিশ্ব সেরা তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। কিন্তু সেই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভা শেষে এসব তথ্য জানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।
মুখপাত্র জানান, প্রস্তাবিত ব্যাংকটির এলওআই এর মেয়াদ ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল। নির্ধারিত সময়ে যেহেতু তারা শর্ত পূরণ করতে পারেনি তাই তাদের সময় বাড়ানোর আবেদন বাতিল করা হয়েছে। আগের ১২ জন উদ্যোক্তা পরিচালকের মধ্যে এখন শুধু প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও তাঁর স্ত্রী আছেন। নতুন করে আরোও ২১জন পরিচালকসহ ২৩ জনের আবেদন করেছেন। এর মধ্যে সাকিব আল হাসানও আছেন। তবে এ আবেদনের বিষয়ে পরবর্তীতে কি সিদ্ধান্ত হবে তা এখন বলা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকিং ব্যবসার জন্য লাইসেন্স নিতে চেষ্টা করছে। তবে এলওআই’র শর্ত পুরণ না হওয়ায় এই লাইসেন্স পাচ্ছিল না প্রতিষ্ঠানটি। ফলে কয়েক দফা এলওআই’র মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবশেষ এলওআই’র মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। তবে এর আগেই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন পুরণের জন্য সাকিল আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তারকে পরিচালক করার বিষয়ে অনাপত্তি চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করে প্রস্তাবিত ব্যাংকটি।
গত ডিসেম্বরে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তারকে পরিচালক করার জন্য নথিপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায়। এ বিষয়ে অনাপত্তির আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনায় ছিল। সাকিব ও তার মায়ের বিনিয়োগ করতে হবে ২০ কোটি টাকা। তবে ২৫ কোটি টাকার মতো মূলধন দিচ্ছেন সাকিব।
এছাড়া বোর্ড মিটিংয়ে পুনর্গঠিত বৃহত ঋণ পুন:তফসিল, সিআইবি তথ্য গোপন করায় আরোপিত জরিমানা মৌকুফ ও গ্রামের ফেরা জনগোষ্ঠীর জন্য ৫০০ কোটি টাকার তহবিলের অনুমোদন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠক সূত্রে আরও জানা যায়, পুনর্গঠিত বৃহত ঋণ পুন:তফসিলের আবেদনেও সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৫ সালে ব্যাংক খাতে পাঁচশ’ কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে এমন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপের ঋণ যৌক্তিক কারণে ১৫ বছরের জন্য পুনর্গঠনের সুযোগ রেখে নীতিমালা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আওতায় প্রকৃত সমস্যায় থাকা উদ্যোক্তার ঋণে নতুন করে সুদহার, ডাউন পেমেন্ট, কিস্তি ও গ্রেস পিরিয়ড নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত আসে। সেই ঋণ পুন:তফসিলের আবেদন আজ নাকচ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।
সূত্রমতে, তানাকা গ্রুপের সিআইবি তথ্য গোপন করায় আরোপিত জরিমানা মওকুফের আবেদনও বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।