শেয়ারবাজারে প্রথম মুনি বন্ড ইস্যু করতে চায় আইআইএফসি
আতাউর রহমান: দেশের শেয়ারবাজারে প্রথম মিউনিসিপাল (মুনি) বন্ড ইস্যু করতে চায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন কোম্পানি (আইআইএফসি)। কোম্পানিটি গুলশান-২ এলাকায় প্রস্তাবিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মার্কেট নির্মাণের জন্য মুনি বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে।
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে আইআইএফসির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইআইএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাহাবুদ্দিন পাটওয়ারী। এছাড়া ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য মতে, রাজধানীর গুলশান-২ এ ৩ একর জমিতে ডিএনসিসি মার্কেট নির্মাণের একটি পরিকল্পনা রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে মার্কেটের নকশা অনুমোদন হয়েছে। মার্কেট নির্মাণে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে আইআইএফসি। এর মধ্যে অধিকাংশ টাকা মুনি বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে তারা। শীঘ্রই এ বিষয়ে কাজ শুরু করার তাগিদ দিয়েছে কমিশন। এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে দেশে প্রথম মুনি বন্ড শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হবে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের আরও বিভিন্ন ইনফ্রাস্ট্রাকচারে মুনি বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়। ডিএনসিসি মার্কেট নির্মাণে মুনি বন্ড ইস্যুর বিষয়টি ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং এলজিইডি অনুমোদন করেছে। এ বিষয়ে গত এক- দুই বছর ধরে এ বিষয়ে কাজ করছে তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ শেয়ারবাজার নিউজকে বলেন, মিউনিসিপাল বন্ড হল আসল প্রাইমারি বন্ড। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে যেসব বড় বড় ইনফ্রাস্ট্রাকচার হয়েছে তার অধিকাংশই মিউনিসিপাল বন্ডের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোন বন্ড ইস্যু করা হয়নি। তাই এ ধরনের প্রথম বন্ড অনুমোদন দিয়ে আমরা শুরু করতে চাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় ৩ একর জমির উপর এ মার্কেট নির্মাণ করা হবে। সেখানে সকল সুবিধা থাকবে। বিশেষ করে কনফারেন্স সেন্টার মিটিং সেন্টার শপিং মল ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা থাকবে। এ জন্য আমরা বেশ আগ্রহী।
উল্লেখ্য, মুনি বন্ড হল রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জারি করা ডেবট সিকিউরিটিজ। বন্ডটির অর্থ হাইওয়ে, ব্রিজ বা স্কুল নির্মাণ সহ রাষ্ট্রীয় অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন উন্নয়নে ব্যয় করা হয়। এ বন্ডের মাধ্যমে সরকার দেশের জনগণের কাছ থেকে ঋণ সংগ্রহ করে। মুনি বন্ডের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই ফেডারেল ট্যাক্স এবং বেশিরভাগ সময় রাষ্ট্র ও স্থানীয় কর থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এতে করে বন্ডটি উচ্চ আয়কর দেয় এমন জনগণের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করে তোলে।