আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২, সোমবার |

kidarkar

সুপারভাইজড বন্ড সুবিধা পুণঃবহাল গোল্ডেন সনের

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারের প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত গোল্ডেন সনের বন্ড সুবিধা পুণ:বহাল করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত ৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস: রপ্তানি ও বন্ড) মো: মশিয়ার রহমান মন্ডল স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপণে এ সুবিধা পুণ:বহাল করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপণে বলা হয়, ০১. জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পত্র নথি নং-০৮.০১. ০০০০.৫৬.০৭.০০৩.১৮(অংশ-১)/৩৯৯, তারিখ: ০৩.০১.২০২২। ০২. কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, চট্টগ্রামের পত্র নং-৫(১৩( কাবক/আকা/বন্ড(সা:লাই:০৭/২০০০(অংশ-১৩)/৩৩৮৭ তারিখ:০৬.১০.২০২১। উপযুক্ত বিষয় ও সূত্রসমূহের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, সূত্রীয় ১নং পত্রটির কার্যক্রম রহিতকরণপূর্বক গোল্ডেন সন লিমিটেডের সুপারভাইজড বন্ড সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। অর্থাৎ গোল্ডেন সনকে পুনরায় বন্ড সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর এক আদেশের মাধ্যমে গোল্ডেন সন লিমিটেডের বন্ড লাইসেন্স বাতিল করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যা পরবর্তীতে ৮ নভেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হিসাবে প্রকাশ করা হয়। ওই বছরই ১২ নভেম্বরের মধ্যে কোম্পানিটিকে জরিমানা বাবদ মোট ৪৩ কোটি ২৯ লাখ ১ হাজার ৮১১ টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছিল কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট।

ওই সময় ডিএসইর খবরে বলা হয়, শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় আমদানি করা কাঁচামাল বন্ডেড ওয়ারহাউজ থেকে অবৈধভাবে স্থানান্তর করার এবং কাঁচামাল, আধা সমাপ্ত পণ্য ও তৈরি পণ্য অবৈধভাবে সরানোর অভিপ্রায়ে বন্ডেড ওয়ারহাউজে গুদামজাত করে রাখার অভিযোগের বিষয়ে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

“কোম্পানিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত এবং প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় ১৯৬৯ সালের শুল্ক আইন অনুযায়ী গোল্ডেন সন লিমিটেডের উপর সর্বমোট ৪৩ কোটি ২৯ লাখ একহাজার ৮১১ টাকা জরিমানা আরোপ করেছে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট।”

এই জরিমানার মধ্যে কয়েকটি শর্ত ভঙ্গের দায়ে অর্থদণ্ড হিসেবে ৩০ কোটি টাকা, কাঁচামালের অবৈধ স্থানান্তরের জন্য শুল্ক হিসেবে ১০ কোটি ৪৪ লাখ ১৫ হাজার ৯১৩ টাকা ও অবৈধভাবে স্থানান্তরের অভিপ্রায়ে কাঁচামাল গুদামজাত করে রাখার জন্য শুল্ক হিসেবে ২ কোটি ৮৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৭ টাকা।

ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, বন্ড লাইন্সেন্স বাতিলের পর থেকে টানা লোকসান গুনছে গোল্ডেন সন। ২০১৭ সালেই কোম্পানিটির লোকসান হয়েছিল ২১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর পরে বছরে ২০১৮ সালৈ লোকসান হয়েছিল ১৭ কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ২০১৯ সালে কোম্পানিটির লোকসান সামান্য কমে ১৭ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার টাকায় নেমে আসে। তবে, ২০২০ সালে লোকসান আবারো ১৮ কৈাটি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অতিক্রম করে। কিন্তু ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি আয়ে ফিরে। এসময় কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৫ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এসময় কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৩০ টাকা। এদিকে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.১৮ টাকা। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটি দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন ঘোষণা করবে।

তথ্য বিশ্লেষণে আরো দেখা যায়, বড় লোকসানে থাকায় ২০১৭, ১৮, ১৯ অর্থবছরে কোন ডিভিডেন্ড প্রদান করেনি গোল্ডেন সন। কিন্তু ২০২০ সালে সঞ্চিতি থেকে ২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে কোম্পানিটি। এদিকে, ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরেও ২.৭৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। সংশ্লিষ্টরা বলছে, বন্ড লাইসেন্স ফিরে পাওয়ায় কোম্পানিটির ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি ডিভিডেন্ড ও আয় বাড়বে।

এ প্রসঙ্গে জানতে কোম্পানিটির সচিব মো: আয়িনউদ্দিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

  • ###

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.