শিগগিরই নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা মহামারি পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নতি হওয়ায় শিগগিরই মাধ্যমিক পর্যায়েও নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বুধবার (২ মার্চ) ঢাকা কলেজে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ও ‘রাজনীতির কবি’বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত দুটা বছর তাদের পড়াশোনায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেকে পারিবারিক-সামাজিক এক ধরনের ট্রমার মধ্যে ছিল। তারা সেই সময়টাকে পার করে এসেছে। আমরা আশা করবো আগামী দিনগুলোতে আগের যে ঘাটতি সেটা পুষিয়ে নেওয়ার। এখানে শিক্ষকরাও যেমন চেষ্টা করবেন, তেমনি শিক্ষার্থীদেরও চেষ্টা করতে হবে। আমাদের আজকে প্রাথমিকের ক্লাস শুরু হলো। আমরা আশা করছি আমাদের মাধ্যমিকেও শিগগিরই স্বাভাবিক জায়গায় চলে যাবার চেষ্টা করবো।
মন্ত্রী বলেন, যেখানে ঘাটতি রয়েছে সেখানে নজর দেব বেশি। আমরা হয়তো এক শিক্ষাবর্ষে সব ঘাটতি পূরণ করতে পারবো না কিন্তু আগামী শিক্ষাবর্ষে সেটুকু পূরণ করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, আজ একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা কলেজে উপস্থিত হলেও আমি কথা বলেছি সমস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য। করোনার এই দীর্ঘ সময়ে এক ধরণের ট্রমার মধ্যদিয়ে গিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আমরা আশাকরি এ ক্লাস শুরু হওয়ার মধ্যে দিয়ে তারা নিজেদের গুছিয়ে নিবে। পূর্বের ঘাটতি পূরণ করতে পড়াশোনায় আরো মনোযোগী হবেন।
দীপু মনি বলেন, আমাদের যিনি জন্মদেন তিনিই শুধু আমাদের মা নন, ভাষা আমাদের মা, দেশ আমাদের মা। এই ‘তিন’ মাকে যখন আপনি ভালোবাসতে পারবেন তখনই একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারবেন। বিশ্বের বুকে একজন ভলো মানুষ হয়ে উঠতে পারবেন।
এরপর মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’বই বিতরণ করেন। এসময় তিনি বলেন, আপনাদের হাতে দেওয়া ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’পড়বেন। বঙ্গবন্ধুকে জানা মানে দেশ কে জানা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাবে এইচএসসি দিয়ে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে কথা বলবো। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিককার অন্তত কয়েকটি সপ্তাহ যদি তারা যে বিষয় পড়বে, সে বিষয় আগের ক্লাসে পড়ে এসেছে সেখানে যদি ঘাটতি থাকে সেটার প্রাথমিক একটা অ্যাসেসমেন্ট করে নিয়ে সেখানে যদি ক্লাস করিয়ে নেয় তাহলে সেটা পূরণ করা যাবে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা এখনও সবাই বই পায়নি- এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনার সময়ে কাগজ নিয়ে অনেক সময় সমস্যা হয়েছে, টেন্ডার করতে সমস্যা হয়েছে। আশা করি দ্রুতই বই পেয়ে যাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।