ব্যাপক পতন শেয়ারবাজারে, ডিএসইএক্স সাত মাসে সর্বনিম্ন

শেয়ারবাজার ডেস্ক : সোমবার (৭ মার্চ) বড় পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারে। সোমবার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৯৬ শতাংশ সিকিউরিটিজের দর কমেছে। তবে সেল প্রেসার থাকার কারণে শেয়ারবাজারে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। আর প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে সাত মাস আগের অবস্থানে নেমে গেছে।
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮২.১২ পয়েন্ট বা ২.৭৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৫৬.৫১ পয়েন্টে। ডিএসইতে আজকে পতনের মাধ্যমে এই সূচকটি সাত মাস ৮ দিন বা ১৫০ কার্যদিবস আগের অবস্থানে নেমে গেছে। এর আগে ২০২১ সালের ২৯ জুলাই সূচকটি আজকের চেয়ে নিচে অর্থাৎ ৬ হাজার ৪২৫ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩৬.৬১ পয়েন্ট বা ২.৫৫ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬৪.৫৪ পয়েন্ট বা ২.৬৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৯৪.৪০ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৩৭৪.৩৯ পয়েন্টে।
ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৭৪০ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ৯৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার।
ডিএসইতে আজ ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টির বা ১.৮৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ৩৬৪টির বা ৯৬.০৪ শতাংশের এবং ৮টি বা ২.১১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৪৪৭.৪৫ পয়েন্ট বা ২.৩০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৯৯৭.০৩ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৯৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২০টির, কমেছে ২৫০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির দর। আজ সিএসইতে ২০ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
শেয়ার বাজার ভবিষ্যতে নিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মনোবল ভেঙে ফেলছে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে শেয়ার বাজার তলানিতে ঠেকেছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগসীমা হবে ক্রয় মূল্য হিসাবে বিবেচনা না করেই শেয়ার বাজার মূল্য নির্ধারণ করে শেয়ার বাজার তলানিতে বসেছে এই দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে। এখানে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী লাখ লাখ বেকার যুবক শেয়ার বাজার এসেছে তার সাথে আছে কোটি কোটি পরিবার । আমরা জানতাম বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মহোদয় একজন বিখ্যাত ব্যাংকার তিনি এই সমস্যা থেকে শেয়ার বাজার ভবিষ্যতে আরো অনেক ভালো করবেন তা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আশা করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের একটা সিদ্ধান্তে শেয়ার বাজার তছনছ হয়ে যাচ্ছে। আমরা লক্ষ্ লক্ষ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পরিবারের কথা একটু চিন্তা করুন। বাজার মূল্য গণনায় আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গভর্নর সাহেব আপনার অবস্থান থেকে সরে আসুন। আর সরে না আসলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পরিবারের অভিশাপে আপনি শেষ বয়সে কষ্ঠ পাবেন।
মার্কেট বন্ধ রেখে আগে নিয়ম কারণ ঠিক করা উচিত না হয় ফলোর প্রাইস বসানো উচিত