ফার্নিচার শিল্পে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার চান উদ্যোক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসবাব নির্মাণ শিল্পের উদ্যোক্তাদের আমদানিকৃত কাঁচামালের ওপর ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। আসছে বাজেটে এ বিধানের পরিবর্তন চান তারা। সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে আনা ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত আসবাব, পার্টিকেল বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এ দাবি জানান তারা।
এসময় উদ্যোক্তারা জানান, আসবাব রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হলেও এটি মূলত প্রণোদনা নয়। কেননা, অন্যান্য রপ্তানিমুখী খাত কাঁচামাল আমদানিতে শুন্য শুল্ক সুবিধা পেলেও আসবাবপত্রের কাঁচামালে সবধরণের শুল্ক ও কর পরিশোধ করতে হয়। সেই অর্থের কিছুটা ফেরত দিতে এই প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে সরকার। কিন্তু আগামী বাজেটে প্রণোদনার হার অন্তত ২০ শতাংশ করার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
এছাড়াও আসবাবপত্র খাতে সামগ্রিক করভার ৮৯ শতাংশ বলে জানান বক্তারা। নতুন বাজেটে এই করভার কমানোর দাবিও জানান তারা। উদ্যোক্তারা বলেন, সরকারের নীতি সহায়তা পেলে এই শিল্পে ভবিষ্যতে তৈরি পোশাকের চেয়েও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। এসময় বক্তারা কর কর্মকর্তাদের নানা হয়রানির কথা তুলে ধরে এ ভোগান্তির অবসান চান।
সভায় প্রধান অতিথি এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এম এ মোমেন স্ট্যান্ডিং কমিটিকে আসবাব শিল্পের কর কাঠামোতে যেসব অসঙ্গতি আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে এফবিসিসিআইকে জানাতে বলেন। এনবিআর এর সাথে আলোচনা করে আগামী বাজেটে এসব অসঙ্গতি দূর করার বিষয়ে এফবিসিসিআই কাজ করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এর আগে কমিটির ডিরেক্টর ইন চার্জ ও আক্তার ফার্নিচারের এমডি কে.এম আক্তারুজ্জামান বলেন, বন্ডের ওয়্যারহাউজ সুবিধা পেলে, বাংলাদেশের আসবাবপত্রের রপ্তানি আরো বাড়বে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান হাতিল ফার্নিচারের এমডি সেলিম এইচ রহমান,
নাদিয়া ফার্নিচারের এমডি এ করিম মজুমদার, পার্টেক্স ফার্নিচারের হেড অব বিজনেস মোঃ শাহ আলম মুন্সি, এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হকসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।