দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ
আট মাসে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার ৩৭ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: কোভিড-১৯ মহামারীতে অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় সিএমএসএমই খাতের জন্য সরকার যে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল করেছে, সেই তহবিলের ঋণ বিতরণে গতি না দেখে হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সাত হাজার ১১৭ কোটি টাকার ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। তবে গত বছর অর্থাৎ প্রণোদনার প্রথম ধাপে এই আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) লক্ষ্য মাত্রার ৭৭ শতাংশ বিতরণ সম্পন্ন হয়। গতি না থাকায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে সিএমএসএমই ঋণ বিরতণ সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। এছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের এমডিরা।
তথ্যমতে, প্রণোদনা দ্বিতীয় ধাপে ১৯ হাজার ৩৪০ কোটি টাকার ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। হাতে গোনা কয়েকটি ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলোর বিতরণের হার ৪০ শতাংশের নিচে। এই ঋণ বিতরণ তদারকি আরও জোরদার করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে, করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় প্রথম মেয়াদে সরকার মোট ২৮টি প্যাকেজ ঘোষণা করে। সবমিলিয়ে এসব প্যাকেজের অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার নয়টি প্যাকেজ বাস্তবায়ন হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে। বছর শেষে এসব প্যাকেজের সার্বিক বাস্তবায়নের হার ছিল প্রায় ৮০ শতাংশ।
ঋণ হিসেবে বিতরণযোগ্য প্রতিটি প্রণোদনা প্যাকেজের জন্য ২০২০ সালের এপ্রিলে পৃথক নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালায় বলা হয়েছিল, প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর মেয়াদ হবে তিন বছর। তবে একজন উদ্যোক্তা কেবল এক বছরের জন্য স্বল্প সুদের ঋণ সুবিধা ভোগ করবেন। ঋণ বিতরণের দিন থেকে এক বছর পার হলে সে ঋণের বিপরীতে সরকার থেকে কোনো সুদ ভর্তুকি দেয়া হবে না। ঋণটি আদায় না হলে সেটি বিতরণকারী ব্যাংকগুলোর স্বাভাবিক ঋণ বলে গণ্য হবে।