মৌলভিত্তি কোম্পানির শেয়ার দর অবমূল্যায়িত- অ্যাসেট ম্যানেজাররা
শেয়ারবাজার ডেস্ক : দেশের শেয়ারবাজারে পতনে অনেক মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার অবমূল্যায়িত হয়ে গেছে। ফলে এখন ওইসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে লাভবান হওয়া যাবে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয়ে সংস্থাটির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অংশগ্রহন করা অ্যাসেট ম্যানেজারের প্রতিনিধিরা এ তথ্য জানিয়েছেন। এতে অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডস (এএএমসিএমএফ) এর সভাপতি ড. হাসান ইমামের নেতৃত্বে তার সংগঠনের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
গত কয়েকদিনের পতনের পরে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছে কমিশন। যার ধারবাহিকতায় আজকে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয়। এর আগে ৯ মার্চ ব্যাংকের প্রতিনিধি ও ১ মার্চ মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সঙ্গে কমিশন সভা করে।
তবে গত ৮ মার্চ বিএসইসি সর্বোচ্চ পতনের ২% সীমা ও স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ১০০ কোটি টাকা দ্রুত বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
আজকের সভার বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, মৌলভিত্তির কিছু কোম্পানির শেয়ার দর অবমূল্যায়িত হয়ে পড়েছে বলে ফান্ড ম্যানেজাররা মনে করছেন। যেখানে এখন বিনিয়োগে লাভবান হওয়া সম্ভব। তাই ফান্ড ম্যানেজাররা তাদের হাতে থাকা অর্থ দ্রুত বিনিয়োগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এছাড়া দেশের শেয়ারবাজারে ফান্ডের আকার খুবই ছোট বা অংশগ্রহন কম হওয়ার বিষয়ে আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে। এতে কমিশনের পক্ষ থেকে ফান্ড ম্যানেজারদেরকে তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে তাদের যে ১৪-১৫ হজার কোটি টাকার বাজার মূলধন রয়েছে, সেটাকে উন্নত করতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে শেয়ারবাজারের স্থায়ী উন্নয়নে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
রেজাউল করিম বলেন, অ্যাসেট ম্যানেজারদের কাজ দুই রকম। এগুলো হচ্ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড পরিচালনা ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও ম্যানেজ করা। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো অ্যাসেট ম্যানেজাররা শুধুমাত্র ফান্ড পরিচালনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাদেরকে বড় বড় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরকে বাজারে আনার জন্য কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২/৩ টা মিউচুয়্যল ফান্ড ছাড়া বাদবাকি সব মিউচুয়াল ফান্ড ফেসভ্যালুর নিচে অবস্থান করছে। আগে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ডের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আশা করছি নিজেদের ইউনিট এবং মৌলভিত্ত শেয়ারে শক্ত ভুমিকা পালন করবে।