ইতিবাচক ধারায় পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দীর্ঘ দরপতনে বিনিয়োগকারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। তবে গেল সপ্তাহ থেকে বাজার ইতিবাচক আচরণ করায় তাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। আজ ১৩ মার্চ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে কমেছে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ। দিন শেষে আজ ৭১.৮৪ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা যায়, আজ ১৩ মার্চ ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১.৪৬ শতাংশ বা ৯৭.৫৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৭৬৫.৭৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৭.৭৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৫৩.১৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৮.০৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৪৬৫.১৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৮০ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৭৩ টির, কমেছে ৮৭ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০ টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে আজ ৭১.৮৪ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। সারাদিনে ডিএসইতে ৩০ কোটি ৩৫ লাখ ৭৩ হাজার ২৫ টি শেয়ার ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৯৬ বার হাতবদল হয়। আর দিন শেষে লেনদেন হয় ৯৯৮ কোটি ৭৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
গত কার্যদিবসে অর্থাৎ ১০ মার্চ ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.৫৭ শতাংশ বা ৩৮.১২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছিলো ৬ হাজার ৬৬৮.১৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৯৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছিলো ১ হাজার ৪৩৫.৪০ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯.৫০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছিলো ২ হাজার ৪২৫.১০ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৭৯ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছিলো ১৯৩ টির, কমেছিলো ১৪৭ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছিলো ৩৯ টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে গত কার্যদিবসে ৫০.৯২ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছিলো। সারাদিনে ডিএসইতে ৩০ কোটি ৭৩ লাখ ২৫ হাজার ১১ টি শেয়ার ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৬৮ বার হাতবদল হয়েছিলো। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ৬১ কোটি ২০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
সে হিসেবে আজ লেনদেন কমেছে ৬২ কোটি ৪৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
এদিকে আজ দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএএসপিআই ১.২২ শতাংশ বা ২৩৮.১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৭৯৯.৬৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৯৩ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বৃদ্ধি পায় ২১১টির, কমেছে ৬৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ২৯২ টাকা। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ২৭ কোটি ৯৬ লাখ ২৮ হাজার ১১২ টাকা। অর্থাৎ সিএসইতে আজ লেনদেন বেড়েছে ১৩ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার ১৮০ টাকা।
শেয়ার বাজার ভবিষ্যতে আরো অনেক উচ্চতায় যাবে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী আশাকরছে। মানহীন কোম্পানি শেয়ার যেন কারসাজির মাধ্যমে কারসাজির রা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত না করতে পারে।সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সেই ব্যবস্থা নিবে । বর্তমান চেয়ারম্যান মহদোয় এর অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছে অতিতে অন্য কোন চেয়ারম্যান এ পদে থাকা অবস্থায় শেয়ার বাজার নিয়ে তাদের সময় ছিল না ।
একমত পোষণ করলাম।
বাজার সাপোর্ট দিলেন নৈপত্য থাকা ব্যাংকখাত এবং মিউচুয়াল ফান্ডখাত। অথচ তাদের শেয়ারের দাম দেখলে মাথা নিচু হয়ে যায়। অভিভাবকহীন শেয়ার এবং ইউনিটগুলোর প্রতি নজর দেওয়ার জন্য বিশেষ আহ্বান জানাচ্ছি।
সাড়ে আট পার্সেন্ট ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়ার পরও সেই মিউচুয়াল ফান্ডের দাম সাড়ে পাঁচ টাকা। তার মানেটা কি। আমরা কি শেয়ার বাজার বুঝিনা। ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়ার পরও অবহিত মূল্যর নিচে কেন। পঁচা শেয়ার হলে মানতে বাধ্য হতাম। যারা বছর শেষে বিনিয়োগকারীদের কিছুই দিতে পারেনা লজ্জাতো তাদের পাওয়া উচিত। যারা ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে পারে তাদের লজ্জার প্রয়োজন নেই।