আজ: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৩ মার্চ ২০২২, রবিবার |

kidarkar

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে

শেয়ারবাজার ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত বছর বাংলাদেশ ৭১৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। এই রপ্তানি ২০২০ সালের চেয়ে প্রায় ৩৭ শতাংশ বেশি। তবে সেই প্রবৃদ্ধিকেও বাংলাদেশ টপকে গেছে চলতি বছরের প্রথম মাসে।

সব মিলিয়ে গত জানুয়ারিতে ৭৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা, যা দেশীয় মুদ্রায় ৬ হাজার ৮৪০ কোটি টাকার সমান (প্রতি ডলার ৯১ টাকা হিসাবে)। এই আয় গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে সাড়ে ৪৫ শতাংশ বেশি।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এমন তথ্য মিলেছে। এ বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৭৫৪ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, যা গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা গণমাধ্যমে বলছেন, বাণিজ্যযুদ্ধ ও করোনার কারণে বছর বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজার হারাচ্ছেন চীনের পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। সেই ব্যবসা এখন পাচ্ছে ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ।

অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শীর্ষ রপ্তানিকারক চীন আবার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে ১৯১ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে চীন, যা গত বছরের জানুয়ারির ১২৯ কোটি ডলারের চেয়ে ৪৭ শতাংশের বেশি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক ভিয়েতনামের রপ্তানি খুব বেশি বাড়েনি। গত বছরের জানুয়ারিতে দেশটি যেখানে ১০৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছিল, সেখানে এবার করেছে ১২৮ কোটি ডলার। তাদের রপ্তানি বেড়েছে ১৯ শতাংশ।

বাজারটিতে তৃতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক বাংলাদেশ। এরপরের অবস্থানে ভারত। গত জানুয়ারিতে তাদের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৪ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেশি। পঞ্চম স্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়া গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৭ শতাংশ বেশি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.