উত্থান শেয়ারবাজারে

শেয়ারবাজার ডেস্ক : মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বড় উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দরও।
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৯.৮৮ পয়েন্ট বা ১.১৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৭১.৬৬ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৯.০৫ পয়েন্ট বা ১.৩২ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৪.৭৭ পয়েন্ট বা ১.৪২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৬০.৫৭ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৪৭১.০৫ পয়েন্টে।
ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৯৫৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৩২২ কোটি ৯২ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৬৩৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার।
ডিএসইতে আজ ৩৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৫৭টির বা ৬৮.১৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ৭৩টির বা ১৯.৩৬ শতাংশের এবং ৪৭টি বা ১২.৪৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২২৫.৭৬ পয়েন্ট বা ১.১৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৮৪২.১১ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৮৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৭২টির, কমেছে ৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির দর। আজ সিএসইতে ২২ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
শেয়ার বাজারের স্হিতিশীলতা ধরে রাখা অতিশয় প্রয়োজন। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে অবিশ্বাস জন্ম হয়েছে, সেটা মুছে ফেলতে হবে । বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে হবে। অনেক বিনিয়োগকারীর পরিবার এটার উপর নির্ভরশীল। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সামান্য পুঁজি নিয়ে অনেক আশা করে এই বাজারে এসেছে। তাদের পুঁজি নিয়ে নেওয়া মানে,তাদের পরিবারকে পথে বসিয়ে দেয়া। দুমূঠো খেয়ে বাঁচার অধিকার চাই।
ব্যাংকের শেয়ার এখনো অভিহিত মূল্যের নিচে কেন। ব্যাংকের খাতের শেয়ার নিঃসন্দেহে মুলভিত্তির শেয়ার।
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এখনো ফেসভ্যালুর নিচে ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয় কিভাবে। প্রত্যকটা ব্যাংক দশ পার্সেন্টের উপরে লভ্যাংশ ঘোষণা করে। তারপরও ফেসভ্যালুর নিচে ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হতে দেখা যায়।
একমত পোষণ করলাম