প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে দুই ভাই কারাগারে

জাতীয় ডেস্ক: মারধর ও শ্লীলতাহানির মামলায় আদালতে প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে রনি ও রুবেল নামের দুই ভাইকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান জানিয়েছেন, এদিন চার্জশিটভুক্ত দুই আসামি রনি ও রুবেলের পরিবর্তে অপর দুই ভাই রনি ও রুবেল আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। তখন বিচারক তাদের নাম ও বাবার নাম জানতে চান। নিজেদের নাম ঠিক বললেও বাবার নামে অমিল পান বিচারক। চার্জশিটে দুই আসামির বাবার নাম পাপ্পু দেওয়া থাকলেও তারা বলেন, রফিক। এতে বিচারকের সন্দেহ হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী জান্নাতুল ইসলাম বলেন, ‘এরাই মামলার প্রকৃত আসামি। চার্জশিটে তাদের বাবার নাম রফিকের পরিবর্তে পাপ্পু আসছে। এদিন বিচারকের কাছে তারা বাবার প্রকৃত নামই বলেন। কিন্তু বিচারক ভেবেছেন, তারা প্রক্সি দিতে এসেছেন। এজন্য তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।’
মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে ২০১৪ সালের ১৪ জুন মো. অপু নামের এক ব্যক্তি পল্লবী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মুরাদ, রনি, আরজু, ইলু, নিলা ও রুবেলকে আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৪ সালে শবে বরাতের রাতে (১৩ জুন) অপুর বাসার লোকজন নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় আসামিরা বাদীর বাসার গেটের ভেতরে পটকা ফুটায়। নামাজে বিঘ্ন ঘটায় বাদীর ভাগ্নে ফয়সাল পটকা ফুটাতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা তাকে গালি-গালাজ করেন। আসামিরা বাদীর বাসার দেয়াল টপকে ভিতরে প্রবেশ করেন। তারা বাদীর ভাগ্নে, স্ত্রী ও বোনকে মারধর করেন। বাদীর স্ত্রী ও বোনকে টানাহেঁচড়া করেন। এসময় ২০ হাজার টাকা দামের একটি সোনার চেইন নিয়ে যান আসামিরা।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সাব-ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার সরকার। গত বছরের ১৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আগামী ২৪ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য আছে।
Very good justice…