ডিএসইতে কমেছে পিই রেশিও

শেয়ারবাজার রিপোর্ট:গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দশমিক ০৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৬ শতাংশ কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৫ দশমিক ৯৪ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৬ দশমিক ০৩ পয়েন্ট।
খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ২০.৬ পয়েন্ট, সিরামিকস খাত ২৯.৮ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ২১.৮ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ১৯.৯ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ২৩.৭ পয়েন্ট, জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে ১১.৭ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১৮.২ পয়েন্ট, আইটি খাতে ২৬.৫ পয়েন্ট, পাট খাতে ৪১৪.৬ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ১১.৯ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৭.৩ পয়েন্ট, কাগজ খাতে পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ৩৪.৩ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১৬.৪ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ১৮ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ৫১ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতে ১৭.৫ পয়েন্ট ও ভ্রমণ-অবকাশ খাতে ৫৭.৭ পয়েন্ট অবস্থান করছে।
ব্যাংক খাতের পিই রেশিও ৭.৭ পয়েন্ট। ৭.৭ পিই রেশিও শেয়ার দশ টাকার আশেপাশে লেনদেন হচ্ছে। প্রতি বছর ভালো লভ্যাংশ রিটার্ন দেয়। নিঃসন্দেহে ব্যাংকখাত মুলভিত্তির একটি খাত। বিশ্বমানের শেয়ার বাজার গড়তে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা গ্রীন সিগন্যালের প্রয়োজন আছে। একদিন বাংলাদেশ ব্যাংক শেয়ার বাজারের জন্য অগ্রগামী ভুমিকা পালন করবে।
ব্যাংকখাতের শেয়ার পঁচা শেয়ার সে জন্য এতকম দরে লেনদেন হতে দেখা যায়। এখানে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা কচুরমাথা পাই।
পাকিস্তানের অর্থনীতির প্রত্যকটা সুচকের চেয়ে বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রত্যকটা সুচক অনেকদুর এগিয়ে। অথচ পাকিস্তানের শেয়ার বাজারের সুচকের চেয়ে বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের সুচক অনেকদুর পিছিয়ে। মানে সহজ, পাকিস্তানের শেয়ার বাজারের সুচক ৪০০০০ হাজার পয়েন্টের উপরে। আর বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের সুচক ৭০০০ হাজার পয়েন্টের নিচে। সুতরাং শেয়ার বাজারের দিক থেকে পাকিস্তানের তুলনায় আমরা অনেকদুর পিছিয়ে। ইন্ডিয়ার শেয়ার বাজারের সুচকের সাথে তুলনা করলে এখনও আমরা শিশু।