আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৮ মার্চ ২০২২, সোমবার |

kidarkar

অবজ্ঞার শিকার ছেলেটিই তরুন নির্মাতা

বিনোদন ডেস্ক:তরুণ নির্মাতা রফিক শিকদার-এর স্বপ্নের সিনেমা ‘বসন্ত বিকেল’। তাঁর স্বপ্নের এই সিনেমাটিতে সংখ্যালঘু তিনটি মানুষের স্বপ্ন, হতাশা ও হাহাকারের গল্প বর্ণিত হয়েছে।
সিনেমাটি নিয়ে রফিক শিকদার বলেন, সিনেমাটি আমার আবেগের জায়গা। এতে অনেক আবেগ কাজ করেছে। এটি বানাতে গিয়ে আমি অনেকবার কেঁদেছি। এটি আমার জীবনের যেমন স্বপ্নের একটি সিনেমা, তেমনি এটি আমার জীবন থেকে অনেক কিছু কেড়ে নেওয়ারও সিনেমা। এই সিনেমাটি বানানোর পরিকল্পনা এসেছে আমার মায়ের মৃত্যুর পর। আমি যখন এই দেশ থেকে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম তখনই এই সিনেমাটি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

রফিক শিকদার নিজেকে একজন দর্শকের জায়গায় নিয়ে বলেন, আমি কুরুচিপূর্ণ দর্শক নই এবং সেরকম পরিচালকও নই। সেই জায়গা থেকে বলতে চাই, এই সিনেমাটি কাউকে হতাশ করবে না। বসন্ত বিকেল দেখে কোনো দর্শক যদি বলেন, এটি তার উপযুক্ত হয়নি কিংবা দেখে হতাশ হন, তাহলে আমার মনে হয় আমার মতো পরিচালকের সিনেমা শিল্পে থাকা উচিৎ নয়। সিনেমাটি অবশ্যই রুচিশীল দর্শকের জন্য।

পরিচালক রফিক শিকদার বলেন, “আমার প্রযোজক এই বসন্তকালে ‘বসন্ত বিকেল’ সিনেমা মুক্তির দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন। আগামী ২০ মে হলে এটি মুক্তি দিতে চাই। এই সিনেমা দর্শক উপভোগ করবেন, আমার বিশ্বাস। আমি টাকার জন্য সিনেমা তৈরি করি না। মানুষকে সচেতন করতে চাই। সমাজকে সচেতন করতে চাই। এখানেও সেই চেষ্টা করেছি’।’

সিনেমার গল্প নিয়ে রফিক শিকদার বলেন, সিনেমাটি বানাতে গিয়ে অনেকবার কেঁদেছি, প্রতিরাতে মাকে মনে পড়ে। মায়ের অনুপ্রেরনায় আজকে আমি বসন্ত বিকেল সিনেমা লিখতে পেরেছি এবং বাস্তব রূপ দিতে পেরেছি। এই সিনেমার গল্পের সংগে আমার জীবনের মিল রয়েছে। মা ছাড়া আমার ভালোবাসার মানুষ ছিলো না, এটি শুধু আমার স্বপ্ন নয় আমার মায়েরও স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের বাস্তব রূপ দিতে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে।

যে ছেলেটিকে গ্রামের মানুষের কথা শুনে বড় হতে হয়েছে। মানুষের অবজ্ঞার শিকার হতে হয়েছে সেই মানুষটি আজ বসন্ত বিকেলের মতো সিনেমা তৈরী করেছে। তাঁর লিখা গল্পে র্নিমিত সিনেমা দেশের মানুষ দেখেবে এর চেয়ে বড় আনন্দের কি হতে পারে। সিনেমার মুক্তির তারিখ শুনে অনেকে ফোন দিচ্ছে, খবর নিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সিনেমা শিল্পে আমি টাকার জন্য আসিনি। আমি আমার পকেটের টাকা খরচ করে সিনেমা বানাই। কাজেই এমন সিনেমাই বানাই যা দর্শকের ভালো লাগবে এবং সিনেমা দেখে দর্শকদের কাঁদতে হবে। যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোনো পরিচালক প্রযোজক এমন সিনেমা তৈরিতে সাহস করছেন না। সেখানে আমি এগিয়ে এসেছি। কারণ সমাজকে ভালো কিছু দিতে হলে কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসতেই হবে।

সিনেমাটিতে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন শিপন মিত্র ও নবাগতা শাহ হুমায়রা সুবাহ। আরও অভিনয় করেছেন ওমর সানী, শাহনূর, সুচরিতা, তানভীর তনু ও শিবা সানুসহ অনেকে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.