পুঁজিবাজারে বীমা কোম্পানির ২০% বিনিয়োগের জন্য আইডিআর কে বিএসইসির চিঠি

শেয়ারবাজার রিপোর্ট:পুঁজিবাজারে অতালিকাভুক্ত ২৬ বীমা কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য প্রস্তাব জমা এবং কোম্পানিগুলোর ইক্যুইটির ২০ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষকে (আইডিআরএ) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এই চিঠি আইডিআরএ চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়েছে।
বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, আমাদের পুঁজিবাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা নিয়ন্ত্রণ করে। যাদের এই বাজারে অংশগ্রহণ প্রায় ৮০ শতাংশ। কিন্তু পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ভূমিকা বেশি হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে বীমা কোম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ২৬ বিমা কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে কমিশন বিভিন্ন ইস্যুতে ছাড় দিয়েছে। তবে সেসব কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আসার জন্য ইক্যুইটির ২০% বিনিয়োগ করতে হবে। এই নিয়ে ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে প্রস্তাব জমা এবং ইক্যুইটির ২০% বিনিয়োগে কোন উদ্যোগ নেয়নি।
এই পরিস্থিতিতে বিমা কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে আইপিওর জন্য ফাইল জমা ও ইক্যুইটির ২০% বিনিয়োগে পদক্ষেপ নিতে আইডিআরএকে অনুরোধ করেছে বিএসইসি। বিমার রেগুলেটর হিসেবে আইডিআরএ কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে বিএসইসি।
এর আগে গত ২৩ মার্চ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য ৬১টি ব্যাংককে বিদ্যমান সক্ষমতার মধ্য থেকে বিনিয়োগ করার জন্য চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। যে ব্যাংকগুলোর ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
বিএসইসির ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। যা বিনিয়োগ সীমার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হবে না। এছাড়া ব্যাংকিং কোম্পানিজ আইনে প্রতিটি ব্যাংকের মূলধনের ২৫% শতাংশ পর্যন্ত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ আছে। এই মূলধনের মধ্যে পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, স্ট্যাচুরি রিজার্ভ ও রিটেইন আর্নিংস অন্তর্ভূক্ত।
কিন্তু অনেক ব্যাংক বিনিয়োগ সীমা ও ২০০ কোটির বিশেষ তহবিলের থেকে অনেক কম বিনিয়োগ করেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অধিকাংশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত ২০০ কোটির বিশেষ তহবিল গঠনই করেনি। এই পরিস্থিতিতে ৩৩ ব্যাংককে বিনিয়োগ সীমা অনুযায়ি ও বিশেষ তহবিল থেকে বিনিয়োগের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশেষ তহবিল গঠন না করা ২৮ ব্যাংককে গঠন করে বিনিয়োগের জন্য বলা হয়েছে।
মাত্র ২০% বিনিয়োগ করার অনুরোধ করা হয়েছে। এতে যদি অসন্তোষ প্রকাশ করে। তাহলে মনে করব তাদের বিবেক বলতে কিছুই নেই। এত বড় বড় খাতগুলো যদি শেয়ার বাজারকে সাপোর্ট না দেয়, তাহলে আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অসহায় হয়ে পড়ব। আমরা ২০১০ থেকে ছোট বড় অনেক ধস সহ্য করে এখনো এই বাজারকে সন্তানের মত লালন পালন করতেছি। সামান্য সুখের আশায়। দুমুঠো ডাল ভাত খাওয়ার আশায়। এই সামান্য চাওয়াটুকু কি আমরা চাইতে পারিনা। তারপরও আমরা কাঁদিনা। জানি একদিন রানার আসবে, খবরের বুঝা কাঁধে নিয়ে রানার ছুটছে। খবরের বুঝা কাঁধে নিয়ে রানার আসবে।