আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ মার্চ ২০২২, বুধবার |

kidarkar

৩০ বীমা কোম্পানিকে ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারনে চিঠি

শেয়ারবাজার ডেস্ক:  বীমা কোম্পানির নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) থেকে ৩০টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিকে উদ্যোক্তাদের কমপক্ষে ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারনে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কমপক্ষে ৪০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) আইডিআরএ পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরিত চিঠি ৩০ নন-লাইফ বীমা কোম্পানির মূখ্য নির্বাহি কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল অতালিকাভুক্ত ২৬ বীমা কোম্পানিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য ফাইল দাখিল ও ইক্যুইটির ২০% শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আইডিআরএকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আইডিআরএ থেকে চিঠি দেওয়া ত্রিশ বীমা কোম্পানি হচ্ছে- অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, জনতা ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, নর্দার্ণ ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স ও ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স।

আইডিআরএর চিঠিতে বলা হয়েছে, বীমা আইন ২০১০ এর ২১ ধারা এবং তফসিল (১)(খ) অনুযায়ি বাংলাদেশে নিবন্ধিত নন-লাইফ বীমা কোম্পানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হবে ৪০ কোটি টাকা। যার ৬০ শতাংশ হবে উদ্যোক্তাদের এবং বাকি ৪০ শতাংশ হবে জনসাধারনের। এ হিসাবে ৪০ কোটির ৬০ শতাংশ বা ২৪ কোটি টাকার মালিকানা হবে উদ্যোক্তাদের। তবে কিছু কিছু নন-লাইফ বীমা কোম্পানির উদ্যোক্তারা এখনো পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশে তাদের মালিকানা করতে পারেনি।

এই পরিস্থিতিতে বীমা আইন ২০১০ এর ধারা ২১ পরিপালনে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন সংরক্ষনে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে আইডিআরএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বীমা খাতে নতুন বা বীমা আইন ২০১০ প্রণয়ের পরে লাইসেন্স প্রাপ্ত বীমা কোম্পানি এবং পুরাতন বা বীমা আইন ১৯৩৮ এর অধীনে লাইসেন্স প্রাপ্ত বীমা কোম্পানির মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য পুরাতন সব নন-লাইফ বীমা কোম্পানিকে বীমা আইন ২০১০ এর ধারা ২১ যথাযথভাবে পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

৪ উত্তর “৩০ বীমা কোম্পানিকে ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারনে চিঠি”

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.