ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানে ব্যর্থ কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন না করার নির্দেশ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি পরপর দুই বছর শেয়াহোল্ডারদের ক্যাশ ডিভিডেন্ড (নগদ লভ্যাংশ) প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের ক্যাটাগরিতে পরিবর্তন না করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এর ফলে পরপর দুই বছর ক্যাশ ডিভিডেন্ডের পরিবর্তে যেসব কোম্পানি বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করেছে, তাদের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হচ্ছে না। বিশেষ করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করতে বারণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
নির্দেশটি শুধুমাত্র ব্যাংকগুলোর জন্য প্রযোজ্য হবে, কারণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক বিধি-নিষেধ আছে এমন ব্যাংকগুলো ছাড়া কোনও তালিকাভুক্ত কোম্পানি নেই।
বিএসইসির পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে, আইনগত বাধ্যবাধকতা বা শর্ত পরিপালনের কারণে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি পরপর ২ বছর নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর বা সমন্বয় করা হবে না।
এর আগে ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএসইসির জারি করার নির্দেশনার ২ নম্বর শর্ত অনুযায়ী-সিকিউরিটিজ আইন, বিধি, প্রবিধান, বিজ্ঞপ্তি, আদেশ, নির্দেশাবলী এবং কোনো বিধান পরিপালনে ব্যর্থ হলে যেকোন তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর বা সমন্বয় করা হবে।
তবে বিএসইসির এ নতুন নির্দেশনার ফলে আইনগত বাধ্যবাধকতা বা শর্ত পরিপালনের কারণে পরপর দুই বছর নগদ লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ হলেও কোম্পানিগুলোর ক্যাটাগরি পরিবর্তন হচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ব্যাংকগুলোর জন্য একটি লভ্যাংশ নীতি জারি করে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ আরোপ করেছে। এর ফলে বিএসইসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তথ্য মতে, গত ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদ সভায় ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংক। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ১২ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ লভ্যাংশ প্রদানে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনের জন্য ১২ এপ্রিল রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগের হিসাব বছরে (২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর) শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ প্রদান করেছিল ব্যাংকটি। ফলে ব্যাংকটি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ দিলেও তার ক্যাটাগরি পরিবর্তন হচ্ছে না।
এদিকে, সম্প্রতি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) পর্ষদ সভায় ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। ব্যাংকটি কোন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। আর ব্যাংকটি আগের হিসাব বছরে ৫ শতাংশ বোনাস এবং ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, যেসব ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাদের বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে না।
Good for share trading and not good for bo accounts holders due to decrease in share price for future. Pls save your money. Increase ur knowledge. Need patience
আইএফআইসি ব্যাংক স্বেচ্ছাচারিতা করে ক্যাস ডিভিডেন্ড দেয়নি। দরবেশ এর জন্য দায়ী।
ব্যাংক খাতের শেয়ার গুলো খুব বেশি অবহেলিত। এই খাতকে পুণর্গঠনের দাবি রাখে। ব্যাংক খাতের লভ্যাংশ রিটার্ন, অন্যান্য খাতের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে।