মর্ডান ডাইং ডি-লিস্টেডের ব্যাখ্যা তলব
শেয়ারবাজার প্রতিবেদক: মর্ডার্ন ডাইং এন্ড প্রিন্টিং লিমিটেডের লেনদেন বন্ধ এবং ধারণ করা শেয়ার হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য আবেদন জানায় একজন শেয়ারহোল্ডার। এরই প্রেক্ষিতে কোম্পানিটিকে ডি-লিস্টেড ও এর ট্রেডিং স্থগিত করার বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, 1969-এর ধারা 6(3) এর অধীনে এই চিঠিটি জারির ৩ দিনের মধ্যে সুপারিশ সহ দুই এক্সচেঞ্জের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে হবে। একই সঙ্গে চিঠিতে উল্লেখিত তথ্য প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখিত বিষয়গুলো হচ্ছে:- শেয়ারহোল্ডিং, স্পনসর/পরিচালকদের তালিকা সহ কোম্পানির সংক্ষিপ্ত বিবরণ, আর্থিক অবস্থান এবং অন্যান্য তথ্য (যদি থাকে)। সেই সাথে ওই কোম্পানির বর্তমান অবস্থা। ডি-লিস্টিং এবং এর ট্রেডিং স্থগিত করার কারণ।
এছাড়া এক্সচেঞ্জের যেকোনো ট্রেডিং বোর্ড থেকে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজগুলো অস্বেচ্ছায় ডি-লিস্টিংয়ে বাতিল করার আগে প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রক বিধানগুলো মেনে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য কোনো ব্যাপক পদ্ধতি রয়েছে কিনা। ঢাকা/চট্টগ্রাম স্টক V এর রেগুলেশন 51(2) এর প্রয়োজন অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জ নিয়মিতভাবে তার ট্রেডিং মনিটরে সে তথ্য প্রচার করে কিনা এ বিষয়ে জানতে চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
অপরদিকে শেয়ার ডি-লিস্টিং করার আগে এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশন, 2015; সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্সের ধারা 9(4) এর অধীনে নির্ধারিত শর্ত বা প্রয়োজনীয়তার সাথে অ-সম্মতি এবং তালিকাভুক্তির আবেদনে পাওয়া যেকোন উপাদানগত বিষয়ে যে কোনও ঘাটতি সম্পর্কে স্টক এক্সচেঞ্জ ইস্যুকারী সংস্থা এবং এর পরিচালকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ শুরু করেছে কিনা সে বিষয়ে জানাতে বলেছে বিএসইসি।
উল্লেখ্য, এর আগে বিল্লাল হোসেন নামের একজন শেয়ারহোল্ডার মডার্ন ডাইং এন্ড প্রিন্টিং লিমিটেডের লেনদেন বন্ধ থাকা শেয়ার হতে মুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরাবর। আবেদনে তিনি জানান, ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে কয়েকবারে মডার্ন ডাইং এন্ড প্রিন্টিং লিমিটেড এর শেয়ার ক্রয় করি। কোম্পানীটি ২০০২ সাল থেকে তালিকাচ্যুতির পূর্বের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ৮% করে ক্যাশ ডিভিডেন্ট দিয়ে আসছিল। হঠাৎ করে ২০১৮ সালের ১৮ই জুলাই ক্যাশ ডিভিডেন্ট দেওয়া একটি কোম্পানীকে শুধুমাত্র উৎপাদন বন্ধের অযুহাতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের দিকে না তাকিয়ে ডিএসই তালিকাচ্যুত করে কিন্তু শেয়ারটিকে ওটিসি মার্কেটে না পাঠিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লেনদেন স্থগিত করে রাখে। অথচ ২০১০ইং সালে কোম্পানীটি উৎপাদন বন্ধ করার পূর্বে ইজিএম করে বিনিয়োগকারীদের অনুমতি নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে বানিজ্যিক ভিত্তিতে ভাড়া দেওয়ার কথা ডিএসইকে জানিয়ে ছিল। আজ প্রায় চার বছর যাবৎ বহুবার কোম্পানীটির অফিস ও ফ্যাক্টরী বিল্ডিংয়ে যোগাযোগ করার পরে তারা বলেছেন আমাদের করণীয় কিছু নেই। এটা সম্পূর্ন ডিএসই এর ব্যাপার। ডিএসই এর সমস্ত নিয়ম-কানুন পরিপালন করার পরেও ডিএসই কোম্পানীটিকে ডি-লিস্টিং করে। মডার্ন ডাইং এন্ড প্রিন্টিং লিমিটেড এর শেয়ার থেকে বের হওয়ার ব্যবস্থা করে ভবিষ্যৎ জীবন-যাপন করার সুযোগ করে দিলে আমার পরিবার আপনার এই সাহায্যের জন্য বেঁচে যাবে। কোম্পানীটির মালিক পক্ষ বলেছেন এই ব্যাপারে আমরা আপনাদের কোন সাহায্য করতে পারব না।
দুঃখের কথা কি আর বলবো। এর থেকেও খারাপ কোম্পানির ট্রেড হয় অথচ আমাদের কপালেই কেন বারি মারে।
কথায় বলে যে মরারে মারস কেন, কয় লরে না ক্যা।
সকলের কাছে আবেদন যেন জেল থেকে ছেড়ে দেয়।