আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৯ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

প্রবাসী আয়ে প্রণোদনা আগের মতোই

শেয়ারবাজার ডেস্ক:আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে প্রণোদনা আগের মতোই রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের সময় তিনি এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দেশের প্রবাস আয়ে রেকর্ড ৩৬.১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল। তবে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই প্রবাস আয় কিছুটা হ্রাস পেতে শুরু করায় বৈধ পথে প্রবাস আয় প্রেরণকে অধিকতর উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে আমরা এ খাতে প্রণোদনার হার ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২.৫ শতাংশে নির্ধারণ করেছি। আমি আগামী অর্থবছরেও এ খাতে ২.৫ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।

বাজেট উপস্থাপনের সময় প্রবাসী আয় বাড়াতে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে ৫ হাজার মার্কিন ডলারের অধিক প্রবাস আয় প্রেরণের ক্ষেত্রে উক্ত প্রণোদনার জন্য প্রেরণকারীর কাগজপত্রাদি বিদেশস্থ এক্সচেঞ্জ হাউস হতে প্রেরণের বাধ্যবাধকতা ছিল, যা সম্প্রতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ পদক্ষেপসমূহের কারণে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রবাস আয়ের প্রবাহ আবারও বাড়তে শুরু করেছে এবং আশা করা যায় যে, অতিসত্ত্বর প্রবাস আয়ে প্রবৃদ্ধির ধারা ফিরে আসবে।

এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। গতবছর অর্থমন্ত্রী চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছিলেন। তবে সংশোধিত হয়ে এই বাজেটের আকার কমে দাঁড়ায় ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড উৎস হতে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। এনবিআর বহির্ভূত সূত্র হতে কর রাজস্ব প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া কর-বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আহরিত হবে আরও ৪৫ হাজার কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ১ শতাংশ।

পরিচালন আবর্তক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।

ঘাটতি অর্থায়নের উৎস হিসেবে প্রস্তাবিত বাজেটে বৈদেশিক উৎস (অনুদানসহ) থেকে ৯৮ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস হতে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা হতে সংগৃহীত হবে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.