শেয়ারবাজার থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শেয়ারবাজার প্রতিবেদক: মুদ্রার অবমূল্যায়নের ডলারের বিপরীতে দুর্বল হয়ে পড়েছে টাকা। এতে শেয়ারবাজারে কমে যাচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মুনাফা। ফলে পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগের পোর্টফোলিও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ব্যাপকভাবে।
বিদেশি বিনিয়োগের পোর্টফোলিওর শেয়ার বিক্রির ফলে চাপের মুখে পড়েছে শেয়ারবাজার, নিম্নগামী হয়ে আছে সূচকগুলো।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে শেয়ারবাজার থেকে বৈদেশিক বিনিয়োগের বহিঃপ্রবাহ ছিল ১ হাজার কোটি টাকা, আর অন্তঃপ্রবাহ ছিল মাত্র ৩০০ কোটি টাকা। গত বছর বৈদেশিক বিনিয়োগের বহিঃপ্রবাহ ছিল ৫ হাজার কোটি টাকা, যেখানে অন্তঃপ্রবাহ ছিল ২ হাজার কোটি টাকা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ডলারের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে মুদ্রা বিনিময় হারের সম্ভাব্য সংশোধনের লোকসান এড়াতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বছরের শুরু থেকে শেয়ার বিক্রি শুরু করে।
গত বছরের জানুয়ারিতে ডলারের আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার ছিল ৮৪.৮০ টাকা। অর্থাৎ একজন বিদেশি বিনিয়োগকারী ওই মূল্যে বিক্রি করা প্রতিটি শেয়ারের জন্য এক ডলার পাবেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রমাগত টাকার অবমূল্যায়নের পর আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার গিয়ে থেকেছে ৯২.৮০ টাকায়। অর্থাৎ এখন ৮৪.৮০ টাকায় একটি শেয়ার বিক্রি করলেও একজন বিনিয়োগকারী এখন এক ডলারেরও কম পাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ অর্থবছর শেষে নেট পোর্টফোলিও বিনিয়োগ ঋণাত্মক ২৬৯ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ২০২০ অর্থবছরে যা ছিল ধনাত্মক ৪৪ মিলিয়ন ডলার। ঋণাত্মক নেট অবস্থানের মানে হলো, অন্তঃপ্রবাহের চেয়ে বহিঃপ্রবাহ বেশি ছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপের কারণে কয়েক বছর ধরে বিনিময় হার ৮৪-৮৫ টাকার মধ্যে স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চলতি বছরের জুন মাসে বিনিময় হার ৯০ টাকা অতিক্রম করে। গত দেড় বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন হয়েছে ৯.৪ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড ২৭.৫৬ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন দেশে একাধিক রোড শো করলেও এর প্রভাব বিদেশি বিনিয়োগ পোর্টফোলিওতে প্রতিফলিত হয়নি।
এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইএক্স) তথ্য অনুসারে, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত আট মাসের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রড ইনডেক্স ১৬ শতাংশ কমেছে। গত বছরের অক্টোবরে ডিএসইএক্স ৭৩০০ ছুঁয়েছিল, যা গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। কিন্তু বাজারে গুরুতর ডলার সংকটের মধ্যে টাকার দ্রুত অবমূল্যায়নের কারণে এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এতে পুঁজিবাজারে মার্কেটে চাপ সৃষ্টি হয় এবং মূল্য সূচক ৬১০০-তে নেমে যায়।
ওই একই সময়ে দৈনিক টার্নওভার ১,৮০০ কোটি টাকা থেকে গড়ে ৬০০ কোটি টাকায় নেমে আসে।
বাংলাদেশের শেয়ার বাজার টাকে ধ্বংস করে দিলো কু চক্র মহল ও দরবেশদের যোগসূত্র রয়েছে বলে আমরা সবাই মনে করি।
সাধারন জনগণের টাকা হাতিয়ে নেয়ার একটা লাইসেন্স হলো শেয়ার বাজার ৷ রেজিস্ট্রার্ড প্রতারক শেয়ার বাজার ৷ পাবলিকের টাকা তুলে কোম্পানী গুলো লোকসান গুনতে শুরু করে আর অসভ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেই সুযোগটা করে দেয় ৷
সাধারন জনগণের টাকা হাতিয়ে নেয়ার একটা লাইসেন্স হলো শেয়ার বাজার ৷ রেজিস্ট্রার্ড প্রতারক শেয়ার বাজার ৷ পাবলিকের টাকা তুলে কোম্পানী গুলো লোকসান গুনতে শুরু করে আর অসভ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেই সুযোগটা করে দেয় ৷
Ata sotto.
বর্তমানে শেয়ার বাজারে জুয়া খেলার আসরে পরিণত হয়েছে। একটি বার্তা সব সময় শুনি কারসাজি চক্র। যদি কারসসজি চক্রের কাজ হয়ে থাকে, তাহলে ঢাকা ষ্টক এক্সচেঞ্জের কাজ কি? আর সরকারই বা কি করতেছে? তার মানে এরা সরকার থেকে ও অনেক বড়। ষ্টক এক্সচেঞ্জ আর সরকার কি তাহলে শুধু মিটিং এ সীমাবদ্ধ!অর্থমন্ত্রী সব পক্ষকে নিয়ে মিটিং করার পর কয়েকটি নিদের্শনা ও দিয়েছিল, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নাই। বর্তমানে বাজার যে, অবস্হায় পৌঁছেছে,এখান থেকে উত্তরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বারবার শেয়ার বাজারের এই পরিণতি কেন?এই বাজারে ৩৫ লাখ বিনিয়োগকারী ও তাদের পরিবার জড়িত। এটা সরকারের ভেবে দেখা উচিৎ। না হয় আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব অবশ্যই পড়বে। বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
রতন দাশ বাবুর সাথে একমত পোষণ করলাম
দেশে এখনো বৈশাখী হাওয়ার পাল বিরাজমান তাই এ বাজার ভালো হওয়ার কোন লক্ষন কি দেখা যায়…? সব সময়ই মিটিং তবে কাজের কাজ শূন্য… 🤔🤔